নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার। সিবিআই আধিকারিকরা ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে বিধায়ক দাবি করেছেন, এটি একটি জমি বিক্রির টাকা। বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের চার জায়গায় এক যোগে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সকাল ৮টা নাগাদ আধিকারিকরা বিধায়কের বাড়িতে যান। জাফিকূলে বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে। বিএড , ডিএড, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসিস্ট কলেজ রয়েছে তাঁর নামে। যে সময়ে তল্লাশি চলে, তখন বিধায়ক কলকাতায় ছিলেন। ডোমকল থানার আইসি সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, জাফিকূল ইসলামের টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়েও তল্লাশি চালান আধিকারিকরা।
বেলা গড়াতেই দেখা যায়, সিবিআই-এর একটি বিধায়কের বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। তখনও ভিতরে চলছিল তল্লাশি। এরপর ডাক পড়ে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের। টাকা গোনার মেশিন আনা হয় বিধায়কের বাড়িতে। বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কাছে ভিতর থেকে খবর আসে, বিধায়কের বাড়িতেও মিলেছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। তারপরও কেটে যায় ঘণ্টা দুয়েক। জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিধায়কের বাড়ি থেকে ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে সিবিআই কর্তারা। আর সেই টাকা গুনতেই আনা হয় মেশিন।
যদিও বিধায়ক দাবি করেছেন, তিনি বর্তমানে একটি জমি বিক্রি করেছেন। এই টাকা তারই মূল্য। ২০১৭ সালে ডোমকল পৌরসভায় তৃণমূলের টিকিটে লড়েন জাফিকুল। এরপর ২০১৯ সালে তৃণমূলেরই চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের জায়গা নেন তিনি। এখন যদিও তিনি প্রাক্তন। জানা যাচ্ছে, জাফিকুল ইসলাম প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। তাঁর নামে একাধিক কলেজ থাকার সূত্রেই আলাপ বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment