নাড্ডাকে উত্তর ফেরাতে রবিবার বর্ধমানে পাল্টা রোড শো করবে তৃণমূল যুব কংগ্রেস

Spread the love

রবিবার বর্ধমান শহরে বিজেপির পাল্টা রোড শো করবে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বর্ধমান শহরের জিটি রোডে এই রোড আয়োজন করা হয়েছে। এই রোড শোতে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। লোক সমাগমের বিচারে বিজেপির রোড শোকে টেক্কা দেওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের।

শনিবার বর্ধমান শহরের বীরহাটা থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত জিটি রোডে কর্মসূচি ছিল বিজেপির। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার জি টি রোডে সাড়ে সাতশো মিটার এই রোড শোতে অংশ নেন। বর্ধমানের এই রোড শো কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, বর্ধমানবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দেয়াল লিখন স্পষ্ট। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তা কাতারে কাতারে মানুষ রোড শোয়ে উপস্থিত থেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন।

যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই রোড শো কে সেভাবে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন , রোড শোতে বাইরে থেকে লোক এনেছিলো বিজেপি। দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে এমনকি ঝাড়খন্ড থেকেও গাড়ি বোঝাই করে লোক নিয়ে আসা হয়েছিল। বর্ধমানের বাসিন্দাদের কোনওরকম উপস্থিতি ছিল না।

গেরুয়া বাহিনীর বাইরে থেকে লোক আনা সংস্কৃতি বর্ধমানবাসীর মনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। এখানকার বাসিন্দারা যে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপরই আস্থা রাখছেন তা আগামীকাল রোড শো তে তারা বুঝিয়ে দেবেন। কাতারে কাতারে শহরের পুরুষ-মহিলারা এই পদযাত্রায় অংশ নেবেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রোড শো পাল্টা হিসেবে যুব তৃনমূলের এই কর্মসূচি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, কোনও পাল্টা কর্মসূচি নয়। তবে এ রাজ্যে বিজেপির মোকাবিলা করতে যুব তৃণমূলই যথেষ্ট। তার প্রমাণ আগামীকালই মিলবে। বর্ধমানের বাসিন্দারা কাদের সঙ্গে আছেন তা রবিবারের বর্ধমানের জি টি রোড প্রমাণ করে দেবে।
তিনি জানান, বর্ধমানের টাউনহল থেকে থেকে স্টেশন পেরিয়ে কলেজ মোড় পর্যন্ত জিটি রোডে এই পদযাত্রা হবে। এই পদযাত্রায় লক্ষাধিক জনসমাগম হবে। সেজন্য বর্ধমান শহর ও তার আশপাশ এলাকার কর্মী সমর্থকরাই যথেষ্ট। বিজেপির মতো বাইরের থেকে লোক আনার প্রয়োজন পড়বে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*