অনাস্থা ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়াল নৈহাটিতে। রবিবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। মারধর করা হয় দুই তৃণমূল কর্মীকে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ৷ তাদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এক দলীয় কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমূল কর্মীরা ৷
লোকসভা ভোটের পর থেকেই নৈহাটি পৌরসভা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত ৷ ১৮ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পৌরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল। পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিজেপি ৷ যদিও অনাস্থা ভোট হওয়ার আগেই রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দেয়। এরপর অনৈতিকভাবে প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। শেষপর্যন্ত হাইকের্টের নির্দেশে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নৈহাটি পৌরসভায় অনাস্থা ভোট হতে চলেছে। আর সেই ভোটকে ঘিরে দিনকয়েক ধরে এলাকাতে উত্তেজনা রয়েছে ৷
এরইমধ্যে রবিবার রাতে নৈহাটির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়োশিবতলা এলাকায় তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ তখন সেখানে দু’জন তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তাঁদের মারধর করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, অনাস্থা ভোটের আগে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি ৷ আর সেজন্যই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ৷
এদিকে, ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নৈহাটি থানার পুলিশ। একজনকে ধরে ফেলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থানায় যায় এলাকার বিজেপি কর্মীরা ৷ সেই সময় অভিযোগ জানাতে সেখানে যায় তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশের সামনেই তারা সৌমেন সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বর্তমানে তিনি নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি ৷ অন্যদিকে, ভাঙচুরের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল ৷
Be the first to comment