ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে দিনভর সরগরম একুশের ভোট ময়দান। গোটা দিন জুড়ে মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অবশেষে অডিয়োর সত্যতা স্বীকার করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বরং উল্টে TMC নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের স্বীকার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদারতার কুৎসিত পরিবেশন করছে BJP। কোনও বিজেপি নেতাকে নয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন এক কর্মীকে ফোন করেছিলেন নেত্রী।’
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন বিজেপি জেলা কমিটির সহ সভাপতি প্রলয় পালকে! বাংলার প্রথম দফার ভোটযুদ্ধ ছেড়ে বঙ্গ রাজনীতি মাতল এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে। যাকে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় সাজানো ঘটনা ও নেত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেন। তিনি এও বলেন, ‘ কোথা থেকে এল এই টেপ? কীভাবে হল রেকর্ডিং তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অপরাধ করেননি। একজন পুরনো কর্মীর সঙ্গে নেত্রী কথা বলতেই পারেন। তাঁর অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করতেই পারেন। বরং এটা ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। একে কুৎসিতভাবে পরিবেশন করছে BJP। ‘
গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ উগরে সুব্রত বলেন, ‘প্রাক্তন এক কর্মীকে ফোন করা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্বল হয়েছেন, হেরে যাবেন, তাই সাধাসাধি করছেন। মোটেই বিষয়টি এমন নয় কিন্তু এই ভাবে খবর পরিবেশন করা হচ্ছে।’ এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ শোনার পর কর্মীরা উদ্বুদ্ধ হবে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। কুণাল ঘোষ থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় দুজনেই এক সুরে বলেন, ‘আমরা গর্বিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নেত্রী। যিনি একজন তৃণমূলস্তরের কর্মীকেও সমান গুরুত্ব দেন। প্রাক্তন কর্মীরও অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী হন।’
Be the first to comment