কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরাচার স্বেচ্ছাচারী’তার অভিযোগ তুলে, এনআরসি ও সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে অবস্থান সত্যাগ্রহ শুরু করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। শনিবার বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা, সোনামুখী পৌরসভার পাশে, কোতুলপুর নেতাজী মোড়, তালডাংরা বাজার সহ প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় দলের এই ‘অবস্থান সত্যাগ্রহ’ করা হয়।
এদিনের কর্মসূচীতে কোতুলপুরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়ায় বিধায়ক শম্পা দরিপা, পৌরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, উপপৌরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল। অন্যদিকে তালডাংরায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্ম্মু, বিধায়ক সমীর চক্রবর্ত্তী, সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি রামানুজ সিংহমহাপাত্র, সুদীন ভুঁই প্রমুখ।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন সর্বত্র ‘নো এনআরসি নো সিএএ’, ‘এনআরসি, সিএএ লজ্জা’ লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে ‘অবস্থান সত্যাগ্রহে’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান দলীয় নেতা, কর্মীরা। কোনও অবস্থাতেই এই রাজ্যে এনআরসি লাগু করতে দেওয়া হবে না বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
এদিন কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে এনআরসি, সিএএ বিরোধী অবস্থান সত্যাগ্রহে উপস্থিত তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, দু’শো বছর ইংরেজের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছেন তাদের উত্তরসূরীদের আজ ভারতীয় নাগরিক কিনা আজ প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
এর বিরুদ্ধে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা ক্ষেত্রে দলের তরফে এই কর্মসূচী চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সর্বস্তরের মানুষ তাদের আন্দোলনকে সমর্থণ জানিয়েছেন। মানুষ দু’মুঠো খাবার, সার্বিক উন্নয়ন আর শান্তির বাতাবরণ চায়।
এরপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে তিনি বলেন, কিন্তু সেই জায়গায় নিজেকে ফকির দাবি করা কেউ দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করছেন। এই অবস্থায় ‘ফকিরের ঝোলায় আগুন লেগে গেছে’ বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে তৃণমূলের এই অবস্থান সত্যাগ্রহ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment