গতমাসেই ঘটা ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে বসানো হয়েছিল নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি, উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন দেশের প্রতি নেতাজির অবদানের কথা মাথায় রেখেই শীঘ্র সেখানে দেশনায়কের গ্রানাইটের মূর্তি বসাবে কেন্দ্র। কয়েক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি নিয়ে দেখা দিল বিপত্তি। অন্ধকারে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি। প্রতিবাদে সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। বৃহস্পতিবার সন্ধে বেলা প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি মূর্তির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদদের দলে সৌগত রায়, সুখেন্দু শেখর রায়, জওহর সরকার, নাদিমুল হক, শান্তা ছেত্রীর মতো লোকসভা ও রাজ্যসভার উভয়কক্ষের সাংসদদের দেখা গিয়েছে। তাদের অনেকের হাতেই প্ল্যাকার্ডও দেখা গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদদের দাবি নেতাজিকে অপমান করা হয়েছে।
উদ্বোধনের কয়েকদিন পরেই নেতাজির মত দেশনায়কের মূর্তি নিয়ে এই বিপত্তিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। সবদিক মাথায় রেখে কি এই মূর্তি বসানো হয়নি? ইন্ডিয়া গেটে সূক্ষ্ম পাতলা পর্দার ওপর আলোর প্রতিফলনের মাধ্যমেই নেতাজি মূর্তি দেখা যেত। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লিতে ঝড়ো হওয়া বইছে। এমনকি আজ দিল্লিতে বৃষ্টিও হয়েছে। হাওয়ার কারণে ওই সূক্ষ্ম পর্দাটি ছেড়ে গিয়েছে। তাই সেখানে নেতাজি মূর্তি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সেকথা মানতে নারাজ তৃণমূল সাংসদরা। তাদের দাবি নেতাজিকে অন্ধকারে রেখে অপমান করা হয়েছে। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “নেতাজিকে কেন অন্ধকারে রাখা হয়েছে? এই নিয়েই আমাদের প্রতিবাদ।”
সাম্প্রতিককালে নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংঘাত চরমে উঠেছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজারে বাংলার পাঠানো নেতাজি বিষয়ক ট্যাবলোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্র নেতাজি বিরোধী বলে পথে নামে তৃণমূল। তারপর হঠাৎ করেই টুইটারে নেতাজি মূর্তি বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এই অত্যাধুনিক হলোগ্রাম মূর্তি বসানোর পর ত়ৃণমূলের আক্রমণের অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল। তবে নেতাজি মূর্তিকে নতুন করে এই বিপত্তি দেখা দেওয়ার কারণে তৃণমূল সহ বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র এল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment