টাকার বিনিময়ে ভোটের টিকিট বিলির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিধানসভা এবং উপনির্বাচনের পর রাজ্যে যখন পৌরভোটের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে হাজির হল তৃণমূল। একটি অডিয়ো ক্লিপিং প্রকাশ করেছে তারা। তাতে সুকান্ত-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে ভোটের টিকিট নিয়ে দরাদরি করতে শোনা গিয়েছে এক জনকে। ১ লাখ টাকায় টিকিট দিতে সুকান্ত আদৌ রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহও প্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি।
ওই অডিয়ো ক্লিপিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি রোজদিন.ইন। তবে তৃণমূলের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োর আকারে সেটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি ফোন থেকে বিজেপির প্রীতম রক্তিম নামের কাউকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করেছে। ফোনের ডিসপ্লেতে তাঁর ছবিও ফুটে উঠছে। ফোনের এ পারে যিনি রয়েছেন, শুধু তাঁর গলা শোনা যাচ্ছে। আর ফোনের উপর ক্যামেরা ধরে রেখে ভিডিয়ো রেকর্ড হয়ে চলেছে, যাতে ডিসপ্লেতে প্রীতমের ছবি দেখা যাচ্ছে, এবং শোনা যাচ্ছে দু’পক্ষের কথোপকথন ৷
দু’জনের কথোপকথন শুনলে বোঝা যায় পৌরভোটে দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ড নিয়ে দরাদরি চলছে ৷ ফোনের ওপারের ওই ব্যক্তি নিজেকে সুকান্তের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করছেন ৷ এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাতায়াত রয়েছে বলেও দাবি করেন ৷ সওয়া ৯টা নাগাদ সুকান্তের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বলে জানান ৷ তাতে টিকিটপ্রার্থী ব্যক্তি জানতে চান, তাঁকে নিয়ে মোট ১২ জন টিকিট পেতে আগ্রহী ৷ কোনও ভাবে তা সম্ভব কি না ৷ হলে প্রার্থী পিছু কত টাকা দিতে হবে ৷ জবাবে প্রীতম জানান, প্রার্থী পিছু ১ লক্ষ টাকা লাগবে ৷ তার কমে হবে কি না জানতে চান টিকিটপ্রার্থী ৷ কিন্তু প্রীতম জানান, তাঁর কোনও অসুবিধা নেই ৷ কিন্তু সুকান্ত হয়তো এত কম টাকায় রাজি হবেন না ৷ তাঁকে রাজি করাতে হবে ৷
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সঙ্গেও তাঁদের ‘সেটিং’ রয়েছে বলে দাবি করেন প্রীতম নামের ওই ব্যক্তি ৷ জয়ী হতে পারেন এমন কোনও ভাল ওয়ার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চান টিকিটপ্রার্থী ব্যক্তি ৷ প্রীতমের উত্তর আসে, ‘‘হতে পারে নয়, হবেই ৷ তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে যত রকম ভাবে জেতানো যায়, সব রকম চেষ্টা করা হবে ৷ ওদের দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে ৷ সেগুলোর লাভ তুলতে হবে ৷’’
এই অডিয়ো ক্লিপিংকে হাতিয়ার করেই সরাসরি সুকান্তকে নিশানা করেছে তৃণমূল ৷ দলের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘প্রার্থী পিছু ১ লক্ষ টাকা দাবি করছে বঙ্গ বিজেপি ৷ সুকান্ত মজুমদার অপপ্রচার চালিয়ে যেতে এ ভাবে টাকা তোলেন আপনি ? স্তম্ভিত ৷’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘ভরসাযোগ্য মুখ না পেয়ে প্রার্থী পিছু ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে বাংলায় গণতন্ত্র বিক্রিতে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি ৷ বাংলা আগেই ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ তাতেও লজ্জা নেই ৷ আগামী দিনেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হবে ৷’
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সঙ্গেও তাঁদের ‘সেটিং’ রয়েছে বলে দাবি করেন প্রীতম নামের ওই ব্যক্তি ৷ জয়ী হতে পারেন এমন কোনও ভাল ওয়ার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চান টিকিটপ্রার্থী ব্যক্তি ৷ প্রীতমের উত্তর আসে, ‘‘হতে পারে নয়, হবেই ৷ তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে যত রকম ভাবে জেতানো যায়, সব রকম চেষ্টা করা হবে ৷ ওদের দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে ৷ সেগুলোর লাভ তুলতে হবে ৷’’
Be the first to comment