সকাল থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নাটক চরমে পৌঁছয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। কোথাও কোথাও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কোথাও মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, কোথাও বিরোধী দলের প্রার্থীরা রইলেন তালাবন্দি হয়ে। আর সেই মনোনয়ন জমা দেওয়া সময় পেরতেই দেখা গেল একের পর এক পুরসভা চলে আসছে তৃণমূলের হাতে। ইতিমধ্যে সাঁইথিয়া ও বজবজ পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এ ছাড়া দিনহাটার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ঘাসফুল শিবিরের। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছায়া দেখছেন বিরোধীরা।
বজবজ- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। বিরোধীরা ১৩ টি ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। ম্যাজিক ফিগার পার করে যাওয়ায় পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল।
দিনহাটা- কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভায় ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটিতে জিতে গিয়েছে তৃণমূল। ১, ৩, ৭, ৯, ১৫, ১৬, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয়নি কোনও বিরোধী দল।
সাঁইথিয়া- বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র তিনটিতে বাম প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছে। আর বাকি ১৩ টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল।
একের পর এক ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা শাসক দল জিতে যাওয়ায় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা গণতন্ত্র, যেখানে বিরোধী শূন্য করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, একদিকে দেশকে বিরোধী শূন্য করে দিতে চান নরেন্দ্র মোদী, আর অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলেরও একই মনোভাব। সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নরেন্দ্র মোদীর মনোভাব নিয়ে চলেন, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।’
Be the first to comment