শিলিগুড়িতে ঐতিহাসিক জয় তৃণমূল কংগ্রেসের। ঘাসফুল শিবিরের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৭টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি,বাম ও কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে শিলিগুড়ি। বিধানসভা নির্বাচনের মতো নিজেদের ফলাফল ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি।
লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের তুলনায় পৌরনির্বাচনে ঠাঁই হল না বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেও পরাজিত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, নান্টু পাল, প্রসেনজিৎ পাল, রাজু সাহা। গতবার চারটি ওয়ার্ড কংগ্রেস নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও এবার কোনওমতে একটি ওয়ার্ড পেয়েছে কংগ্রেস। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক সুজয় ঘটক।
বামেদের পরিস্থিতি সব থেকে বেশি খারাপ ৷ গতবার ২৩টি ওয়ার্ড জিতলেও এবার চারটি ওয়ার্ডে জিতেছে বামফ্রন্ট। পরাজিত হলেন অশোক ভট্টাচার্য, মুকুল সেনগুপ্ত, স্নিগ্ধা হাজরার মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা ৷ তবে ভোটে পরাজয়ের মূল কারণ হিসাবে জোট না হওয়াকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস ও বাম শিবির। ঠিকঠাক জোট হলে এই দুই দলের ফলাফল আরও ভাল হত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল কংগ্রেস জিততেই শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে উল্লাস। সবুজ আবির খেলায় মেতেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। জয়ী প্রার্থী অভয়া বসু বলেন, প্রত্যেককে অনেক ধন্যবাদ ৷ আমার জন্য দলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী প্রচুর কাজ করেছেন। এবার ওয়ার্ডে আরও উন্নয়ন হবে।
আরেক প্রার্থী লক্ষ্মী পাল বলেন, এই জয় মানুষের জয়। এই জয় উন্নয়নের জয়। ওয়ার্ডের প্রতিটা মানুষের জন্য কাজ করব।
Be the first to comment