তুফানগঞ্জে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন

Spread the love

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত গোটা বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা, একের পর এক তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর খবর আসছে। এবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ থানা এলাকায় মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপি কর্মীরাই তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম শাহিনুর রহমান। তুফানগঞ্জ থানার চিলাখানা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে এক চাষজমি থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় শাহিনুর রহমানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এটা রাজনৈতিক সংঘর্ষের ফল বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

এলাকার বিজেপি কর্মীরা শাহিনুর রহমানকে হত্যা করেছে বলে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন শাহিনুর রহমান ৷ তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছে বিজেপি।’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা। তাঁর পাল্টা দাবি, এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস হামলা করছে জেলাজুড়ে ৷ চিলাখানাতে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় ঘরছাড়া হয়েছে প্রচুর বিজেপি কর্মী।

এদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন শাহিনুর রহমান। সারা রাত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও শাহিনুরের হদিশ মেলেনি। তারপর এদিন সকালে বাড়ির অদূরে চাষ জমিতে শাহিনুরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁরাই প্রথমে শাহিনুরের পরিবারকে খবর দেয়। তারপর তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চিলাখানা গ্রামে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শাহিনুরের হাত বাঁধা ছিল। মাথার পিছনে প্রায় তিনটি গভীর ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শাহিনুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের আগে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না বলে তুফানগঞ্জ থানার আধিকারিক জানিয়েছেন। তিনি জানান, দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*