শাহরুখ খান (এস আর কে)
(জন্ম ২রা নভেম্বর, ১৯৬৫),
তিনি একজন বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবপ্রেমিক। ১৯৮০ এর শেষের দিকে বেশ কিছু টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিওয়ানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন। শাহরুখ খান চৌদ্দবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে আটটিই সেরা অভিনেতার পুরস্কার। তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে।
বর্তমানে শাহরুখ খান পৃথিবীর সফল চলচ্চিত্র তারকা তাঁর প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ভক্ত।২০০৮ সালে নিউজউইক তাঁকে বিশ্বের ৫০ ক্ষমতাশীল ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়। ওয়েলথ-এক্স সংস্থার বিচারে বিশ্বের সবথেকে ধনী হলিউড, বলিউড তারকার তালিকায় শাহরুখ খান দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি হলিউড তারকা ব্রাড পিট, টম ক্রুজ, জনি ডেপ-দের পিছনে ফেলে দিয়েছেন। অভিনেতা হিসেবে বৈশ্বিক অবদানের জন্য শাহরুখ খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করেছে স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৮৮ সালে ফৌজী টেলিভিশন সিরিয়ালে কমান্ডো অভিমন্যু রাই চরিত্রের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে সার্কাস সিরিয়ালে তিনি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেন।
পরদেশ, দিল তো পাগল হ্যায়, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, মোহাব্বতে, কাভি খুশি কাভি গাম, কাল হো না হো, বীর-জারা, ইয়েস বস, জোশ, দেবদাস, আঞ্জাম, দিল সে, স্বদেশ,পহেলি, কভি আলবিদা না কেহনা, ওম শান্তি ওম, দিলওয়ালে, দিল আসনা হ্যায়, ডর, বাজিগর, করন অর্জুন, কয়লা, রাম জানে, মাই নেম ইস খাঁন, চলতে চলতে, ম্যায় হু না, ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি, রব নে বানা দি জোড়ি সহ আরও অনেক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন।
দেশে বিদেশে বহু পুরস্কারে তিনি সম্মানিত হয়েছেন ফিল্ম ফেয়ার থেকে, সেরা অভিনেতা ছাড়াও বহু বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। এছাড়াও ২০০৭ – ফরাসি সরকার কর্তৃক Ordre des Arts et des Lettres (শিল্পকলা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি) উপাধি লাভ
২০০৬ – দুবাইয়ের গভর্নর প্রদত্ত সম্মাননা
২০০৬ – মাদাম তুসোর মোমের জাদুঘরে স্থাপনা মুর্তি আছে তাঁর।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তাঁর জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময়, তাঁর পরিবার কলকাতা চলে আসে। তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত।
একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। ফটিক নামক কাল্পনিক চরিত্রটি তার সৃষ্টি। তাঁর প্রথম গল্প জলতরঙ্গ শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরে ঐ একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে ঘুণ পোকা নামক তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি।
যাও পাখি,উজান,কাগজের বউ, কীট, ক্ষয়, চুরি, চোখ,জাল, দিন যায়, দূরবীন, পারাপার, ফুলচোর, বিকেলের মৃত্যু, মানবজমিন, ঘুণ পোকা, আশ্চর্য ভ্রমণ, রঙীন সাঁকো, পাতালঘর, কুঞ্জপুকুরের কান্ড, দুধসায়রের দ্বীপ, পটাশগড়ের জঙ্গলে, ঝিলের ধারে বাড়ি, সোনার মেডেল, অদ্ভুতুড়ে,মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, বিপিনবাবুর বিপদ, নৃসিংহ রহস্য, বক্সার রতন, গজাননের কৌটো, গোঁসাই বাগানের ভূত, গৌরের কবচ ইত্যাদি তাঁর সৃষ্টি।
তাঁকে বিদ্যাসাগর পুরস্কার (১৯৮৫) – শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য, আনন্দ পুরস্কার (১৯৭৩ ও ১৯৯০), সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৮)- মানবজমিন উপন্যাসের জন্য, বঙ্গবিভূষণ (২০১২) সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
জন্মদিনে তাঁকে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা।
তথ্য সংগ্রহেঃ মাসানুর রহমান
Be the first to comment