স্যার নীলরতন সরকার
জন্মঃ ১ অক্টোবর ১৮৬১ – ১৮ মে ১৯৪৩
তিনি একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ । তিনি বহু শিক্ষাসংস্থা এবং গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং এগুলি স্থাপনে সহযোগিতা করেছিলেন । তিনি একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং শিল্পস্থাপনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে থেকে এমবি হয়ে তিনি মেয়ো নেটিভ হাসপাতালে হাউস সার্জেনের পদে যোগ দেন। নীলরতন সরকার অল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক হিসাবে বিখ্যাত হন। তাঁর পারিশ্রমিক দুই টাকায় আরম্ভ হয়ে আস্তে আস্তে ৬৪ টাকা অবধি হয় । তিনি দরিদ্র রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন এবং তাদের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার দিতেন ।১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং এরপর ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স ও ফ্যাকাল্টি অফ মেডিসিনের ডিন হন । তিনি স্নাতকোত্তর কলা (১৯২৪ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত) ও বিজ্ঞান শিক্ষা বিভাগের (১৯২৪ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত) সভাপতিও হয়েছিলেন।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
শচীন দেববর্মণ
জন্মঃ ১ অক্টোবর, ১৯০৬ – ৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫
তিনি বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক , সুরকার , গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী । প্রায়শ তাঁকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তাঁর শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তাঁর কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন কিছুমাত্র লঘু হয়নি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক। তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর পুত্র রাহুল দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতপরিচালক এবং সুরকার ছিলেন। তাঁর ছাত্রী এবং পরবর্তীতে সহধর্মিনী মীরা দেববর্মণ গীতিকার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Be the first to comment