আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন
(জন্মঃ- ৩ নভেম্বর, ১৮৬৬ – মৃত্যুঃ- ২০ নভেম্বর, ১৯৩৯)(সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান অনুযায়ী) সাহিত্যিক এবং বাংলাভাষার ইতিহাসবিদ।
১৮৯৬ সালে দীনেশচন্দ্রের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য শীর্ষক একটি আকরগ্রন্থ প্রকাশিত হয় যা তাঁর দীর্ঘ গবেষণার ফসল। তিনি উপাচার্য স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আহবানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন। প্রথমে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের পরীক্ষক (১৯০৫), পরে রীডার পদে (১৯০৯) নিযুক্তি লাভ করেন। ১৯১০ সালে মনোনীত হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য। ১৯১১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর History of Bengali Language and Literature গ্রন্থ। এ গ্রন্থের জন্য তিনি পাশ্চাত্যের গবেষক ও সাহিত্য-সমালোচকদের কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ ফেলোশিপ’ পেয়ে (১৯১৩) তিনি মৈমনসিংহ-গীতিকাসহ পূবর্ববঙ্গ-গীতিকা (চার খন্ড, ১৯২৩-১৯৩২) এবং এর ইংরেজি ভাষ্যে Eastern Bengal Ballads (চার খন্ড, ১৯২৩-১৯৩২) সংকলন ও সম্পাদনা করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ লোকসাহিত্য বিলুপ্তি থেকে উদ্ধার এবং এ সাহিত্য বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে গ্রন্থ প্রণয়নে তিনি অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর এসব সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়।
পৃথ্বীরাজ কাপুর
(৩ নভেম্বর, ১৯০১ – ২৯ মে ১৯৭২) ছিলেন ভারতীয় থিয়েটার এবং হিন্দি সিনেমা সিল্পের অগ্রদূত। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের নির্বাক যুগে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৪৪ সালে মুম্বাই অঞ্চলের চলমান থিয়েটার কোম্পানি পৃথ্বী থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের কাপুর পরিবারের পিতৃব্য ছিলেন, যেই পরিবারটি চার প্রজন্ম যাবত হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের অভিনয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতীয় সরকার ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তাকে ১৯৬৯ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৭১ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করেন।
অবসর গ্রহণের পর, পৃথ্বীরাজ পৃথ্বী ঝোপরা নামের একটি কুটির তৈরি করেন, সেটি জুহু সৈকতের কাছাকাছি ছিল। সম্পত্তিটি ছিলো লিজ নেয়া, যেটি শশি কাপুর কিনেছিলেন, এবং পরে একটি ছোট, পরীক্ষামূলক পৃথ্বী থিয়েটারে রূপান্তরিত হয়েছিল। পৃথ্বীরাজ এবং রামসরণি উভয়েরই ক্যান্সার হয়েছিল এবং দুজনই এক পক্ষকালের মধ্যে মারা গেছিলেন, পৃথ্বীরাজ ২৯ মে ১৯৭২ মারা যান এবং ১৪ জুন তার স্ত্রী তাঁকে অনুসরণ করেন।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অমর্ত্য সেন
(জন্ম ৩রা নভেম্বর, ১৯৩৩) একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় বাঙালী অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন। অমর্ত্য সেনই জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক আবিষ্কার করেন। তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডালে ভূষিত হন।
.
অমর্ত্য সেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬০-৬১ সালে ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট বার্কলেতে ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন। বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যামন্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৭২ সালে তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স এ অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। অমর্ত্য সেনের লেখা গ্রন্থাবলী ৩০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
.
অমর্ত্য সেন ১০২টি সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন।
তিনি বহু সম্মামে সম্মানিত হয়েছেন সেগুলি হল—–
1981; He was elected a Foreign Honorary Member of the American Academy of Arts and Sciences.
1982: He was awarded honorary fellowship by the Institute of Social Studies.
1998: He received the Nobel Memorial Prize in Economic Sciences for his work in welfare economics.
1999: He received the Bharat Ratna ‘the highest civilian award in India’ by the President of India.
1999: He was offered the honorary citizenship of Bangladesh by Sheikh Hasina in recognition of his achievements in winning the Nobel Prize, and given that his ancestral origins were in what has become the modern state of Bangladesh
২০০০: তিনি অর্ডার অব কম্প্যানিয়ন অব অনার এ ভূষিত হন
2000: He received Leontief Prize for his outstanding contribution to economic theory from the Global Development and Environment Institute.
2000: He was awarded the Eisenhower Medal for Leadership and Service USA;
2000: He was the 351st Commencement Speaker of Harvard University.
2002: He received the International Humanist Award from the International Humanist and Ethical Union.
2003: He was conferred the Lifetime Achievement Award by the Indian Chamber of Commerce.
He is awarded the Life Time Achievement award by Bangkok-based United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific (UNESCAP)
2010: He was chosen to deliver the Demos Annual Lecture 2010
2011: The National Humanities Medal will be given to Amartya Sen by US Govt.
এছাড়াও, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১ সালে অমর্ত্য সেনকে বাংলা ভাষার ধারক ও বাহক হিসেবে বাংলা একাডেমী তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করেনন।
.
এই বিশেষ মানুষটির জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভেচ্ছা।
মোনালি ঠাকুর
(জন্ম: ৩ নভেম্বর, ১৯৮৫; কলকাতা, ভারত) একজন জনপ্রিয় ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেত্রী।
শিশু হিসেবে তিনি বাংলা টিভি ধারাবাহিক আলোকিত এক ইন্দুতে অভিনয় করেছিলেন। এতে তিনি প্রধান চরিত্র ‘ইন্দুবালা’র ভূমিকায় ছিলেন। এরপর একজোড়া টেলিছবি হিসেবেও তার অভিনয় ধারাবাহিকভাবে চলে, এবং তন্মধ্যে সুদেষ্ণা রায়ের ফাগুনে আগুন (এতে তিনি ‘রুমান’ নামক চরিত্রে ছিলেন) উল্লেখ্য। তাঁর অভিনয়জীবন শুরু হয় রাজা সেন পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র কৃষ্ণকান্তের উইল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, যেখানে তিনি ‘ভ্রমর’ চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে তিনি নাগেশ কুঙ্কুনুর-এর বলিউড চলচ্চিত্র লক্ষ্মীতে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রটি মানুষ পাচার এবং শিশু বেশ্যা বিষয়ক কাহিনীর ওপর গড়ে উঠেছে। এখানে তিনি ১৫ বছরের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন যে ফাঁদে পড়ে যায়। এছাড়াও ম্যাঙ্গো ছবিতে তিনি কাজ করেছেন।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই জন্মদিবসের শুভেচ্ছা।
শুভশ্রী গাঙ্গুলী
(জন্ম: ৩ নভেম্বর, ১৯৮৯)
কলকাতা বাংলা সিনেমার (টলিউড) জনপ্রিয় অভিনেত্রী।তিনি একটি ওড়িশা ছবি করে ও প্রশংসা পেয়েছিলেন। তিনি ফেয়ারএভার আনন্দলোক নায়িকার খোজে এর বিজয়ী হয়েছিলেন। শুভশ্রী অনুভব মহান্তির বিপরীতে মাতে তা লাভ হেলারে নামের একটি ওড়িশা ছবির মাধ্যমে তাঁর প্রথম আবির্ভাব হয়।
পিতৃভূমি, বাজিমাত, চ্যালেঞ্জ, পরান যায় জ্বলিয়া রে, খোকাবাবু, বস, বস২, গেম, নবাব, রোমিও, আমি শুধু চেয়েছি তোমায় ইত্যাদি ছবিতে তিনি কাজ করেছেন।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাকে জানাই শুভ জন্মদিন।
Be the first to comment