স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু
(জন্মঃ নভেম্বর ৩০, ১৮৫৮ – নভেম্বর ২৩, ১৯৩৭)
তিনি একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। তাঁর গবেষণা ফলে উদ্ভিদবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা করে। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে।
জগদীশের আঠারো মাসের সেই গবেষণার মধ্যে মুখ্য ছিল অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান। ১৮৮৭ সালে বিজ্ঞনী হের্ৎস প্রতক্ষভাবে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। এ নিয়ে আরও গবেষণা করার জন্য তিনি চেষ্টা করছিলেন যদিও শেষ করার আগেই তিনি মারা যান। জগদীশচন্দ্র তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে সর্বপ্রথম প্রায় ৫ মিলিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তরঙ্গ তৈরি করেন। এ ধরণের তরঙ্গকেই বলা হয়ে অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মাউক্রোওয়েভ। আধুনিক রাডার, টেলিভিশন এবং মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত এর মাধ্যমেই বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান প্রদান ঘটে থাকে।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বুদ্ধদেব বসু
(জন্মঃ- ৩০ নভেম্বর, ১৯০৮ – মৃত্যুঃ- ১৮ মার্চ, ১৯৭৪)
তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার, অনুবাদক এবং সম্পাদক ছিলেন। অল্প বয়স থেকেই কবিতা রচনা করেছেন, ছেলে জুটিয়ে নাটকের দল তৈরী করেছেন। প্রগতি ও কল্লোল নামে দুটি পত্রিকায় সমানে লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশাতেই রবীন্দ্র প্রভাবের বাইরে সরে দাঁড়াবার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধাদি রচনা করে তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। ১৯৭০ সালে পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তপস্বী ও তরঙ্গিণী কাব্যনাট্যের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
কবিতাঃ মর্মবাণী (১৯২৫), বন্দীর বন্দনা (১৯৩০), পৃথিবীর পথে (১৯৩৩), কঙ্কাবতী (১৯৩৭), দময়ন্তী (১৯৪৩), দ্রৌপদীর শাড়ি (১৯৪৮), শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৩), শীতের প্রার্থনা: বসন্তের উত্তর (১৯৫৫), যে-আঁধার আলোর অধিক (১৯৫৮), দময়ন্তী: দ্রৌপদীর শাড়ি ও অন্যান্য কবিতা (১৯৬৩), মরচেপড়া পেরেকের গান (১৯৬৬), একদিন: চিরদিন (১৯৭১), স্বাগত বিদায় (১৯৭১)।
উপন্যাসঃ সাড়া (১৯৩০), সানন্দা (১৯৩৩), লাল মেঘ (১৯৩৪), পরিক্রমা (১৯৩৮), কালো হাওয়া (১৯৪২), তিথিডোর (১৯৪৯), নির্জন স্বাক্ষর (১৯৫১), মৌলিনাথ (১৯৫২), নীলাঞ্জনের খাতা (১৯৬০) ইত্যাদি।
গল্পঃ
অভিনয়, অভিনয় নয় (১৯৩০), রেখাচিত্র (১৯৩১), হাওয়া বদল (১৯৪৩), শ্রেষ্ঠ গল্প (১৩৫৯), একটি জীবন ও কয়েকটি মৃত্যু (১৯৬০), হৃদয়ের জাগরণ (১৩৬৮), ভালো আমার ভেলা (১৯৬৩), প্রেমপত্র (১৯৭২)। এছাড়াও তিনি বহু প্রবন্ধ, কবিতা ইত্যাদি লেখেন।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
জিৎ বা জিতেন্দ্র মদনানী
জন্মঃ ৩০শে নভেম্বর ১৯৭৮
তিনি ভারতের বিশেষত পশ্চিম বাংলার একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি ২০০২ সালে তার অভিনীত সাথী ছবির জন্য বি.এফ.জে.এ সবচেয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অভিনেতা-এর পুরস্কার পান। এই ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্যও লাভ করে। তিনি স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, টিভি শো কোটি টাকার বাজি রিয়েলিটি শো-এ সঞ্চালক হওয়ার জন্য। তিনি টলিউডের সর্বোচ্চ হিট ছবিতে অভিনয়ের গৌরব অর্জন করেন। তিনি ২০১২ সালের আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড পান এই আওয়ারা ছবিতে অভিনয়ের জন্য। বর্তমানে তিনি বাংলা ছবির অন্যতম সুপারস্টার।
সাথী, চ্যাম্পিয়ন, নাটের গুরু, আমার মায়ের শপথ, সঙ্গী, আক্রোশ, প্রেম, মস্তান, হিরো, যুদ্ধ, শুভ দৃষ্টি, সাথীহারা, প্রিয়তমা, ঘাতক, জোর, পার্টনার, সাত পাকে বাঁধা, ফাইটার, হ্যলো মেমেসাহেব, বস, গেম ইত্যাদি তার অভিনীত সিনেমা করেন।
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিন।
নিশা কোঠারি
জন্মঃ ৩০ নভেম্বর ১৯৮৩
তিনি একজন অভিনেত্রী ও মডেল। হিন্দি, তেলেগু, তামিল, কানাডা সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন।
জয় জয়, জেমস, সরকার, শিবা, গো, ডারলিং, আগ, ক্রমিনালস, আঘাত, ডারনা জরুরী হ্যায়, দ্য কিলার ইত্যাদি সহ আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করছেন।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছ।
Be the first to comment