ইরফান খান পাঠান
জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৮৪
তিনি একজন ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি ২০০৩ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে আত্মপ্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ও টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক।
পাঠান ২৭ অক্টোবর ১৯৮৪ ভারতের গুজরাট, বরোদা জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে বাদোরার একটি মসজিদে তার ভাই ইউসুফ পাঠান এর সঙ্গে বেড়ে ওঠেন। তখন তার পিতা একজন মুয়াযযিন হিসেবে কাজ করতেন। যদিও তার পিতা একজন ইসলামী পণ্ডিত হিসেবে কাজ করলেও পাঠান এবং তার ভাই উভয়ই ক্রিকেটের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
পাঠান ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি টেস্ট ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় আত্মপ্রকাশ করেন। ইরফান পাঠান ডবল ১০০০ রান এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে ১০০ উইকেট – (২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি এর হিসাবে) বিশ্বরেকর্ডধারী খেলোয়াড়। এটি তিনি মাত্র ১০৫৯ দিনে গ্রহণ করেছেন। তিনি হলেন ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেট মাত্র (৫৯ ম্যাচে) ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছানো দ্রুততম খেলোয়াড়। রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।
অনুরাধা পাড়োয়াল
(জন্ম: ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৪) ভারতের একজন জনপ্রিয় গায়িকা। তিনি বলিউড ছবিতে গান করেন। তিনি গান করেন হিন্দি, বাংলা, মারাঠি ভাষা, গুজরাটি, তেলুগু, তামিল, পাঞ্জাবি, অসমীয়া সংস্কৃত ভাষা, ওড়িয়া ও নেপালী ভাষা ভাষায়।
অনুরাধা (জন্ম নাম অলকা নদাকারনি) কারয়াড, উওরা কন্নড, কর্নাটক রাজ্যে জন্ম গ্রহন করেন। কনকানি পরিবারে মুম্বাই তে বড় হন। তিনি সংগীত জীবন শুরু করেন ১৯৭৩ ফিল্ম অভিমান (অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন অভিনীত) সংস্কৃত অনুবাদ। ঐ বছর মারাঠি ফিল্ম যশোদা সংগীত পরিচালক দত্ত দাভজেকর আত্মপ্রকাশ করেন।
তিনি অনেক সংগীত পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, শচীন দেববর্মণ, জয়দেব, রাহুল দেব বর্মণ, আনান্দ-মিলিন্দ, আনু মালিক, যতীন-ললিত, নদীম-শ্রবন, হিমেশ রেশমিয়া, কল্যাণজী-আনান্দজী, লক্ষিকান্ত-পেয়ারেলাল, রাজেশ রোশন, সাজিদ-ওয়াজিদ, ভিজু শাহ, উত্তম সিং , রাম-লক্ষন, দীলিপ সেন-সমীর সেন, আনন্দ রাজ আনন্দ, আদেশ শ্রীভাস্তাব, বিশাল-শেখর, এম. এম. কেরাভানি এবং ভিশাল ভরদ্বাজ।
তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, (১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯২, ১৯৯৩) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত), (১৯৯০)
মাদার তেরেসা আজীবন সম্মাননা, (২০১১) সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।
কোচেরিল রমন নারায়ানান
( জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯২০ – ৯ নভেম্বর ২০০৫)পেরুম্থানাম, ট্রাভাঙ্কোর, ব্রিটিশ ভারতে (বর্তমানে উঝাভর, কেরল, ভারত) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতবর্ষের ১০ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্স, ও কেরল বিশ্ববিদ্যালে পড়াশুনা করেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিচক্ষনতার পরিচয় দেন। আজ এই শুভ জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
কুমার চোকশানাদা সাঙ্গাকারা
(জন্ম: ২৭ অক্টোবর, ১৯৭৭) মাতালে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। এছাড়াও তিনি শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। এরপূর্বে তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাকে বৈশ্বিক ক্রিকেট অঙ্গনে সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ‘সাঙ্গা’ ডাকনামে পরিচিত কুমার সাঙ্গাকারা শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন বামহাতি ও শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান। শুরুতে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় বৃদ্ধিকল্পে এ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন। মে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত রান সংগ্রহের দিক দিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্বিতীয় ও টেস্ট ক্রিকেটে ৫ম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এছাড়াও উইকেট-রক্ষক হিসেবেও রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।
দ্বিতীয় উইকেট তথা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যে-কোন উইকেটে সবচেয়ে দীর্ঘতম জুটি গড়েন তিনি। জুলাই, ২০০৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম জুটি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে জয়াবর্ধনের সাথে ৬২৪ রান করেন। ৩১ বছর বয়সে ৮০টি টেস্ট ও ২৪৬টি একদিনের খেলার অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হিসেবে সকল ধরণের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব লাভ করেন এবং মাহেলা জয়াবর্ধনের স্থলাভিষিক্ত হন। ২০০৯ সালের জুন মাসে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অধিনায়কত্বের অভিষেক ঘটান।
দিলীপ কুমার বরুরা
(জন্ম: ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৪) (জন্ম ১৯৪৩- ২৭ এপ্ৰিল,) তিনি অসমের এজন শিক্ষাবিদ, লেখক ও অৰ্থনীতিবিদ। তাৰ্কিক, তৰ্ক প্ৰতিযোগিতার বিচারক ও কুইজ মাষ্টার নামেও পরিচিত। তাঁকে অসমের কুইজের জনক বলেও অভিহিত করা হয়।
শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৬৬ সালে ১৬ নভেম্বর তেখেতে কটন কলেজের অৰ্থনীতি বিভাগের প্ৰবক্তারূপে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর এই বিভাগের অধ্যাপকের দায়িত্বভার লাভ করেন। ২০০০ সালে ১ মাৰ্চের পরে ৮ নভেম্বর এই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে আসেন। ১৯৮৯ সালের পরে ১৯৯২ গুয়াহাটীতে অসম প্ৰশাসনীয় পদাধিকারী মহাবিদ্যালয়ের যুটীয়ায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পান।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।
Be the first to comment