সুকুমার রায়
(জন্ম ১৮৮৭ – ১৯২৩)
তিনি একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে “ননসেন্স রাইমের” প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং তাঁর পুত্র খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তাঁর লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হযবরল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু, এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা “ননসেন্স” ধরণের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (Alice in Wonderland) ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ক্লাসিক-ই যাদের সমকক্ষ।
.
কলকাতার সিটি স্কুল তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি.(অনার্স) করার পর সুকুমার মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান। সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং কালক্রমে তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
.
সুকুমার রায়ের স্বল্পস্থায়ী জীবনে তাঁর প্রতিভার শ্রেষ্ঠ বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। সন্দেশের সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর লেখা ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ আজও বাংলা শিশুসাহিত্যে মাইলফলক হয়ে আছে। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার অনন্য প্রকাশ তাঁর অসাধারণ ননসেন্স ছড়াগুলোতে। তাঁর প্রথম ও একমাত্র ননসেন্স ছড়ার বই আবোল তাবোল শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার।
.
আবোল তাবোল, পাগলা দাশু, হেশোরাম হুশিয়ারের ডায়েরি, খাই-খাই, অবাক জলপান, লক্ষণের শক্তিশেল, ঝালাপালা ও অনান্য নাটক, হ য ব র ল, শব্দ কল্প দ্রুম, চলচ্চিত্তচঞ্চরী, বহুরুপী ইত্যাদি তাঁর সৃষ্টি।
.
তাঁর জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা
(জন্ম ৩০ অক্টোবর ১৯৬০)
তিনি একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবল কোচ সেইসাথে একজন ম্যানেজার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়। অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, প্রাক্তন ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গন্য করেন। তিনি ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ে পেলের সাথে যৌথভাবে ছিলেন।
.
মারাদোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফি এর ক্ষেত্র বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো। নিজের পেশাদার ক্যারিয়ারে মারাদোনা আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন। ক্লাব পর্যায়ে তিনি তার নাপোলিতে কাটানো সময়ের জন্য বিখ্যাত, যেখানে তিনি অসংখ্য সম্মাননা জিতেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন।
.
২০০৮ সালের নভেম্বরে তাকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৯ সালে আর্জেন্টিনার কনেক্স ফাউন্ডেশন তাকে হীরক কনেক্স পুরস্কার প্রদান করে যা আর্জেন্টিনার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাংস্কৃতিক পুরস্কার। তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় খেলাধুলায় আগের দশকে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে।
.
২০০০ সালে, মারাদোনা তার আত্মজীবনী Yo Soy El Diego (আমি দিয়েগো) প্রকাশ করেন যা তার নিজ দেশে তাতক্ষণিক জনপ্রিয়তা পায়। ২০০০ সালে, ফিফা মারাদোনাকে শতাব্দির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করে।
.
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
অভিজিৎ ভট্টাচার্য
১৯৫৮ সনের ৩০শে অক্টোবর ভারতের কানপুর শহরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ভাই-বোনের ভেতর সর্ব কনিষ্ঠ। তিনি রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুল,কানপুর থেকে মাধ্যমিক, বি এস এন ডি এন্টার কলেজ চুন্নিগঞ্জ, কানপুর থেকে উচ্চমাধ্যমিক; এবং ক্রাইস্ট চার্চ কলেজ,কানপুর থেকে ১৯৭৭ সনে বি কম পাশ করেন।
.
অভিজিৎ একজন ভারতীয় বাঙালি গায়ক । তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য প্লেব্যাক করেন । তবে তাঁর হিন্দি এবং বাংলা গানের বেশ কিছু ব্যক্তিগত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বহু সুপারহিট গান গেয়েছেন।
.
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।
Be the first to comment