হাসপাতালে জ্ঞান ফিরতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। মঙ্গলবার সকালে একটু সুস্থ হতেই সাংবাদিকদের সামনাসামনি হয়ে তিনি বলেন, তাঁকে গুলি করে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। রাম মন্দির, কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ও গোহত্যা নিয়ে তিনি যাতে কথা না বলতে পারেন, তার জন্যই এই প্রচেষ্টা। প্রবীণ তোগাড়িয়া আরও বলেন, আমাকে বহু পুরোনো একটি মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমার মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপির একাংশ। মঙ্গলবার সকালে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শোনাতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে তোগাড়িয়ার।
পাশাপাশি তিনি জানান, রাজস্থান পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছিল। সোমবার সকালে আমি যখন পুজো করছিলাম, ঠিক সেই সময় আমার অফিসে একজন এসে বলে আমাকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলা হবে। যদিও কে বা কারা তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল, সে বিষয়ে সঠিক কিছু জানাতে পারেননি প্রবীণ তোগাড়িয়া। তবে এর পিছনে গেরুয়া শিবিরের একাংশের হাত আছে বলেই মত তাঁর। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা আরও জানান, ফোনে রীতিমতো তাঁকে হুমকি দেওয়া হতো। সেই কারনে তাঁর ফোন বন্ধ করে রাখেন তিনি। তবে যতই তাঁকে খুনের চেষ্টা হোক না কেন, তিনি যে প্রতিবাদের পথ থেকে একবিন্দুও সরে যাবেন না একথাও স্পষ্ট করে দেন। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান গুজরাটের তরুণ তুর্কি হার্দিক প্যাটেল। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা অর্জুন মোধওয়াদিয়াও।
কিন্তু ভিএইচপির এই নেতা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন পুলিশের এনকাউন্টার থেকে বাঁচতেই তিনি পালিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের অন্য একটি খুনের চেষ্টার মামলায় চলতি বছরের শুরুতে আমেদাবাদ মেট্রোপলিটন আদালতে প্রবীণ তোগাড়িয়া ও অন্য ৩৮ জনের বিরদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আর সেকারনেই রাজস্থান পুলিশের একটি বিশেষ দল সোমবার তাঁর বাড়িতে আসে।
Be the first to comment