টালিগঞ্জ থানায় পুলিশ নিগ্রহের জের, সরানো হলো ওসিকে

Spread the love

সরিয়ে দেওয়া হলো টালিগঞ্জ থানার ওসি অনুপ ঘোষকে ৷ তাঁকে গোয়েন্দা বিভাগে বদলি করা হয়েছে ৷ নতুন দায়িত্বে এলেন সরোজ প্রহরাজ ৷ এর আগে, টালিগঞ্জ থানায় পুলিশকে নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে । খোঁজ চলছে আরও কয়েকজনের। নানা জায়গায় চালানো হয় চিরুনি তল্লাশি। পুলিশের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশের পর মাঠে নেমেছে গুণ্ডা-দমন শাখাও। লালবাজার সূত্রে আগেই খবর মিলেছিলো, ঘটনায় অনুপ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়েছে। অভিযোগ, তিনি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) মানেন নি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার করা হয়েছে পুতুল হালদার এবং পূর্ণিমা দাসকে। সেই সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে। যদিও তাদের নাম এখনও সামনে আনেনি পুলিশ। ঘটনার CCTV ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গেছে পুতুল হালদারকে। চেতলার মাটালিবাগানে প্রথমবার অভিযান চালিয়ে পুতুলের প্রতাপ টের পেয়েছিল পুলিশ। ওই বস্তিতে পুতুল খুবই প্রভাবশালী। এর আগেও নাকি গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। সেটাও ঝামেলার কারণেই। আর এই পুতুল দাসের ভাইপো রণজয় হালদার, যাকে মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে ১১ আগস্ট রাতে আটক করেছিল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে DC সাউথের রিপোর্ট চান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । পাশাপাশি যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মাকে ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। মুরলীধর শর্মা নিজে টালিগঞ্জ থানায় যান। উপস্থিত সমস্ত পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন। খতিয়ে দেখেন CCTV ফুটেজ। সেই ফুটেজ থেকেই আকাশ এবং গুল্লু নামে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় চেতলা রোডে ওই দু’জনের বাড়ির সামনে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেও বাধার মুখে পড়তে হয়। পুতুল বাহিনী রীতিমতো ঘিরে ফেলে পুলিশকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পুতুল এবং তার শাগরেদ পূর্ণিমা ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে। বাকি দু’জন আকাশ এবং গুল্লু কি না, তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*