আর নতুন এপিসোড নয়। বরং জনপ্রিয় ধারাবাহিকের পুরনো এপিসোড দেখেই এ বার খুশি থাকতে হবে দর্শকদের। অন্তত হালফিলের টলিপাড়ার হাল এমনটাই বলছে।
সমস্যা চলছিল অনেকদিন থেকেই। কিন্তু সুরাহা হচ্ছিল না। মাঝে মাঝেই হচ্ছিল ধর্মঘট। তারপর আবার উঠেও যাচ্ছিল। তবে এ বার নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন টালিগঞ্জের শিল্পী মহলের একাংশ। গত শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে ধর্মঘট। বন্ধ রয়েছে বহু জনপ্রিয় মেগাসিরিয়ালের শ্যুটিং। শ্যুটিং কবে শুরু হবে সেই বিষয়ে সঠিক ভাবে কিছু জানা যায়নি। টালিগঞ্জ পাড়ার অনেকেই বলছেন, “এ বার জট সহজে কাটবে বলে মনে হচ্ছে না।”
এই নিয়ে সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করে আর্টিস ফোরাম। সেখানে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কাজ বন্ধ করা উদ্দেশ্য নয়। ৭ জুলাই চুক্তি হয়েছিল। বলা হয়েছিল ১৬ আগস্ট বকেয়া টাকা মেটানো হবে। কিন্তু এখনও বহু শিল্পী এবং কলাকুশলীর পারিশ্রমিক বাকি রয়েছে। কথার খেলাপ করা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, আগে ৮ ঘণ্টার শিফটে কাজ হতো। এখন কাজ হয় ১২ ঘন্টার শিফটে। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “অভিনেতাদের কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকা উচিত। কিন্তু বাড়তি কাজ করালে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না।”
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে খানিকটা ক্ষোভের সঙ্গেই প্রসেনজিৎ বলেন, “এখানে তো সবাই নিজের শ্রম দেন। সেরাটা দেন। তার বিনিময়ে ন্যায্য পারিশ্রমিকের বেশি তো কিছু চাওয়া হয়নি।”
টালিগঞ্জ পাড়া সূত্রে খবর, অনেকদিন ধরেই দেরিতে পারিশ্রমিক পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন অভিনেতা এবং কলাকুশলীরা। অভিনেতাদের দাবি, মাসখানেক আগে কলাকুশলী এবং অভিনেতাদের সঙ্গে চুক্তি হয় প্রযোজনা সংস্থাগুলির। চুক্তি অনুযায়ী কলাকুশলীদের বেতন বাড়ে ৪০ শতাংশ। ১২ ঘণ্টা বেঁধে দেওয়া হয় তাঁদের কাজের সময়। আর অভিনেতাদের কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১০ ঘণ্টা। বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
কিন্তু এরপর অভিনেতাদের একাংশ দাবি করেছেন, কেবলমাত্র নামিদামি এবং পরিচিত অভিনেতারাই নাকি বকেয়া টাকা পেয়েছেন। বাকিদের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এ বার তাই নিজেদের দাবি মেটানোর জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা এবং কলাকুশলীদের একটা বড় অংশ। সূত্রের খবর, শনিবার স্টুডিও পাড়ায় এলেও শ্যুটিং করেননি বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। এ দিকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের হাতেও সম্প্রচারিত হয়নি এমন কোনও পর্ব নেই। অতএব, অবিলম্বে শ্যুটিং চালু না হলে সোমবার থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে ছোট পর্দার বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিক।
Be the first to comment