অপূর্ব ট্রেনযাত্রার অনুভূতি। পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে টয়ট্রেন যাত্রা। দুপুর থেকে শুরু হল তিন ঘণ্টার সফর। নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফিরলেন পর্যটকরা।
শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে দাঁড়িয়ে টয় ট্রেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের এই টয় ট্রেনের নতুন সফর শুরু। শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন ছাড়িয়ে রওনা দিল ট্রেন। জনা কয়েক পর্যটক। ট্রেনের মধ্যেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে ট্রেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছল সুকনা স্টেশনে। কয়েকজন পর্যটক ততক্ষণে খবর পেয়ে গিয়েছে এই জঙ্গল সাফারির। আগামী দিনে এই যাত্রা আরও পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।
সুকনা ছেড়ে ট্রেন চলল রংটংয়ের উদ্দেশে। পাহাড়ি জঙ্গলের আলো-আঁধারি। আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে খেলনা ট্রেন। পাহাড়ের ফাক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে ডুবন্ত সূর্যের আলো। মহানন্দা অভয়ারণ্য ঘুরে সতেরো কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ট্রেন পৌঁছল রংটং। এরপর ফেরার পালা। রাতের পাহাড়। অন্ধকার ভেঙে এগিয়ে চলেছে ট্রেন। কখনও এবাঁক তো কখনও ওবাঁক থেকে উঁকি মারা। নতুন করে খুঁজে পাওয়া টয় ট্রেনকে। আপাতত দু’টি কামরার ট্রেন। একটির ভাড়া এক হাজার টাকা। ডাইনিং কামরার জন্য প্রয়োজন বারোশো টাকা। তিন ঘণ্টার সফর। এই শীতে উত্তরবঙ্গে গেলে এই টয়ট্রেনের জঙ্গল সাফারির নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে ভুলবেন না।
Be the first to comment