মোবাইল ফোনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনও কথা বলছেন। ব্যালেন্স আছে পর্যাপ্ত, আছে চার্জও। তবু মাঝপথে কটাং করে কেটে গেল ফোন। প্রায়ই হয় এমন সমস্যা, ইদানীং যেন একটু বেশিই হচ্ছে। তবে এই ‘কল ড্রপ’ সমস্যা একা আপনার নয়, সারা দেশে অনেকেরই হচ্ছে। নিত্যদিনের এই সমস্যায় একমাত্র দায়ী পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। সেই কারণেই টেলিকম রেগুলেটর অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই) প্রায় ৫৬ লাখ টাকা জরিমানা করল বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাকে।
ট্রাই যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে, সে কথা সারা বছরের কল ড্রপের পরিসংখ্যান-সহ তথ্য রাজ্যসভায় পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী মনোজ সিনহা। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি জরিমানা করা হয়েছে টাটা টেলিসার্ভিসকে। সম্প্রতি এয়ারটেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধার পরিকল্পনা করছে টাটার এই সংস্থাটি।
তথ্যে দেখা যাচ্ছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ এবং এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সব চেয়ে বেশি কল ড্রপ হয়েছে আইডিয়া ও রাষ্ট্রীয় টেলিযোগ সংস্থা বিএসএনএল-এর। ২০১৮ সালের ছ’মাসের জন্য মোট ২২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাদের থেকে। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং পরের তিন মাসের জন্য ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে বিএসএনএলকেও মোট ৬ লাখ (২ ও ৪ লাখ) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এয়ারটেলের পরিষেবাতেও অখুশি ট্রাই। কল ড্রপের এই সমস্যায় কাঠগড়ায় উঠতে হয়েছে তাদেরও। প্রায় ছ’লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে এই টেলিকম সংস্থাকে।
টেলিকম মন্ত্রী বলেন,”বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরও কোনও রকম সমাধান করেনি সংস্থাগুলি। বরং ট্র্যাফিকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে আরও সমস্যা প্রকট হয়েছে। সেই কারণেই শেষমেশ কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাই। টেলিকম পরিষেবার গুণগতমান উন্নতির লক্ষ্যেই জরিমানা করা হয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে টেলিকম অপারেটররা ইন্টারনেটের বিভিন্ন আধুনিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৯.৭৪ লক্ষটি মোবাইল সাইট সংযোজন করেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে দেশের বেস স্টেশনের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ২০.০৭ লক্ষ। এটাও কল ড্রপের একটা বড় কারণ। জরিমানার পরে অবস্থা বদলায় কি না, সেটাই এখন দেখার।
Be the first to comment