সব ট্রেনের দ্রুততাকেই টেক্কা দিচ্ছে ট্রেন-১৮

Spread the love
দেশে সব চেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন বলে পরিচিত রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী, দূরন্ত– এগুলো। ভাড়াও আকাশছোঁয়া। কিন্তু এবার সেই দ্রুততাকে টেক্কা দিচ্ছে ট্রেন-১৮। ইঞ্জিন ছাড়াই অত্যন্ত দ্রুত বেগে ছুটবে এই ট্রেন।
শুধু বেগই বেশি নয়, রাজধানীর চেয়েও ভাড়া পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া হওয়ার সম্ভাবনা এই ট্রেনের। বোর্ড কর্তারা জানিয়েছেন, নির্ধারিত ভাড়া এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে সেমি হাইস্পিড ট্রেন-১৮ কে অত্যন্ত বিলাসবহুল বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে তার ভাড়াও সেই নিরিখেই হবে।
ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনবিহীন এই ট্রেন-১৮ দেশের বিভিন্ন জ়োনে পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হচ্ছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা শেষে ১ জানুয়ারি থেকে এই নতুন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল বোর্ড। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে চলবে এই ট্রেন।
ভোপাল-দিল্লির মাঝে শতাব্দী এক্সপ্রেসের জায়গায় এই ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর পর দিল্লি-মুম্বইয়ের মাঝে চলবে এই ট্রেন। আগামী মে, জুন পর্যন্ত আরও পাঁচটি রেক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তখন রাজধানী এক্সপ্রেসের জায়গায় এই ট্রেনগুলিকে চালানো হতে পারে। সূত্রের খবর, ট্রেন-১৮-এর প্রথম রেকটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
রাজধানীর চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি গতির এই ট্রেন তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। ট্রেনে রয়েছে স্লাইডিং ডোর, মেট্রোর মতো ট্রেন দাঁড়ালে তবেই তা খুলবে। দুটি এক্সিকিউটিভ কামরাতে আসন সংখ্যা মোট ৫২। এই কামরার আসনগুলি ঘুরে যাবে ট্রেনের গতিমুখ অনুযায়ী।
ট্রেলার কামরাতে ৭৮টি করে সিট থাকছে। থাকছে ডিফিউজাল লাইটিং ব্যবস্থা, ইনফরমেশন বোর্ড, ওয়াই ফাই সুবিধা, ভ্যাকুয়াম টয়লেট, জিপিএসে প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম ইত্যাদি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে৷ এক রেল কর্তার রসিক মন্তব্য, ইঞ্জিন ছাড়া আর সব কিছুই মিলবে এই ট্রেনে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*