পরীক্ষায় পাশ করেছে আগেই। এ বার যাত্রী নিয়ে ছোটার জন্য প্রস্তুত দেশের প্রথম দ্রুতগতির ইঞ্জিনবিহীন ‘ট্রেন ১৮।’ রেল সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বর ২৯ থেকেই চালু করে দেওয়া হবে আধুনিক প্রযুক্তির এই ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী থেকেই প্রথম যাত্রা শুরু করবে ‘ট্রেন ১৮’।
১০০ কোটি টাকা খরচে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনের পোশাকি নাম ‘ট্রেন ১৮’। এটিই এখন দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন। ছুটতে পারে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে। তবে আপাতত ছুঁয়েছে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতি। চলতি মাসের প্রথমে রাজস্থানের কোটা-সওয়াই মাধোপুর সেকশন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয় এই ট্রেন’।
ট্রেনটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ)। বলা হচ্ছে, উন্নত প্রযুক্তির এই ট্রেন পরবর্তীকালে শতাব্দী ও রাজধানী এক্সপ্রেসের বিকল্প হতে পারে। রেলসূত্রে খবর, ‘ট্রেন ১৮’ সাফল্য পেলে ২০২০ সালের মধ্যে ‘ট্রেন ২০’ আনার পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতীয় রেলের।
আইসিএফ সূত্রে খবর, মাত্র আঠারো মাসে তৈরি হয়েছে এই ট্রেন। ‘সেল্ফ প্রপলেড ইঞ্জিনলেস’ ট্রেনটি শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে ১৫ শতাংশ কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। এতে ১৬টি কামরা রয়েছে। তা ছাড়া দু’টি এক্সিকিউটিভ কামরায় থাকবে ৫২টি সিট। প্রতিটি কামরা সাজানো হয়েছে এলইডি লাইট দিয়ে। থাকছে ওয়াই-ফাই ও জিপিএস পরিষেবার সুযোগ, বায়ো ভ্যাকিউম টয়লেট।
শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতাযুক্ত এই ট্রেনটি চালু হলে তা এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন গতিমান এক্সপ্রেসকেও ছাপিয়ে যাবে। গতিমান এক্সপ্রেস ছুটতে পারে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে। জ্বালানী সাশ্রয়ের দিক থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে ১৫-২০ শতাংশ এগিয়ে ট্রেন।
Be the first to comment