শ্রীকুমার ভট্টাচার্য,
আজ বেশ ভোরেই উঠতে হল। ‘ইগলু-হাটের’ বাইরে বেরোতেই নজর কাড়ল পঞ্চচুল্লির এক অন্যরূপ। সদ্য ফোটা ভোরের অপার্থিব সেই আলোর ছিটে লেগেছে প্রথম চূড়োটার মাথায়। এমন মূহুর্তকে চোখে দেখতে পেয়ে সত্যিই বিহ্বল তখন। দান্তু থেকে এমন দৃশ্য আমি দেখতে পাইনি। কয়েক মিনটের সেই রং ঝড়ানো আলোয় স্নান সেরে আবার চূড়োগুলো স্বমহিমায় ফিরে এল। কয়েকটা বিস্কুট আর চা খেয়েই ‘জিরো-পয়েন্টের’ দিকে রওনা দিলাম। সাড়ে-চার কিমির পথ, প্রায় পুরোটাই বরফের রাজত্বের ওপর দিয়ে হাঁটা।
আমাদের জুতোর অবস্থা দেখে মহেশ একটা ‘কিন্তু’ সূচক চাহনি দিয়ে এগিয়ে চলল, আমরাও তার পিছু নিলাম। মিনিট দশেক চলার পর যে উন্মুক্ত প্রান্তের সামনে এসে দাঁড়ালাম তা ভাষায় প্রকাশ করার ধৃষ্টতা আমি করবই না। সে এক অনন্য অনুভূতি। আমার মন তখন সত্যিই খুঁজে ফিরছে ঈশ্বরবাদের বিমূর্ত স্পর্শ… ‘তুমি এসেছিলে তবু আসনাই জানায়ে গেলে…’।
‘জিরো-পয়ন্ট’ ঘুরে এসে যখন ‘ইগলু-হাটে’ ফিরে এলাম তখন হিমালয়ের সেই অপার সৌন্দর্য আমাদের এক চুপকথার দেশে যেন নিয়ে গিয়েছে। বেস-ক্যাম্পে আরও একটা দিন থেকে পরের দিন বাড়ির টানে ফিরেছিলাম। রয়ে গেল এক অমূল্য স্মৃতি…, আবার হয়ত আসব ফিরে কখনো…এই পথেই, অন্য কোনো বাঁকে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য-
আমাদের যাওয়ার রাস্তা…
কলকাতা -> বারেলি -> ধারচুলা ( ৩৭০ কিমি পথ, প্রায় ১৬ ঘন্টা )।
ধারচুলা->দান্তু গ্রাম ( ৭০ কিমি গাড়ির রাস্তা ৬ ঘন্টার পথ )। এক্ষেত্রে রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ, যেকোনো সময় আপনাকে হাঁটার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থকতে হবে। দান্তু গ্রামে হোম-স্টের ব্যবস্থা আছে।
দান্তু -> পঞ্চচুল্লি বেস-ক্যাম্প ( ৪,১/২ কিমি পথ, হেঁটে ৩ ঘন্টা মত )।
পঞ্চচুল্লি বেস-ক্যাম্প -> জিরোপয়েন্ট ( ৪ কিমি )।
প্যাকেজ – ১০,০০০/- জন প্রতি, ধারচুলা –> ধারচুলা (২ রাত- ৩ দিন)।
Mahesh Jung :- Ph.no. 7599011630 (watts-app) , 9458178339
দেখুন ছবি-
Be the first to comment