
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে পর্যটক বোঝাই গাড়ির উপর ভেঙে পড়ল আস্ত একটি গাছ। তাতে গুরুতর জখম হয়েছেন কলকাতার চার কলেজ পড়ুয়া পর্যটক ও গাড়ির চালক। দুর্ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটনমহলে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা-সিকিম সীমানার চিত্রে’তে। এদিন সকালে সিকিমের পেলিং থেকে ফিরছিল পর্যটক বোঝাই একটি চারচাকা গাড়ি। গাড়িটিতে আটজন কলকাতার পর্যটক ছিলেন। কলকাতার নেতাজি মহাবিদ্যালয় থেকে এক্সকারশানে গিয়েছিল দলটি। গাড়িতে ছিলেন শান্তি দে, সাথী মণ্ডল, টুনাই বারিক, অরিজিতা রায়, শ্রেষ্ঠা পাল, মন্টু ঘোড়ুই, অর্ঘ্য ভট্টাচার্য, শুভদীপ মণ্ডল এবং গাড়ির চালক সরোজ তামাং।
গাড়িটি পর্যটকদের নিয়ে শিলিগুড়ি ফিরছিল। চিত্রের কাছে নামার সময় আচমকা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই গাড়িটির উপর ভেঙে পড়ে একটি বিশাল গাছ। গাছের নীচে চাপা পড়ে যায় গাড়িটি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন গাড়ির চালক ও সামনের আসনে থাকা যাত্রী। তবে চালক গুরুতর জখম হয়েছেন। পাশাপাশি ঘটনায় জখম হয়েছেন তিন মহিলা ও একজন পুরুষ পর্যটক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিম্পং থানার পুলিশ। স্থানীয়দের সাহায্যে পর্যটকদের উদ্ধার করে কালিম্পং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বাকিরা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘটনার জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বন দফতরের কর্মীরা গাছটি কেটে সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেন। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পর্যটকদের চিকিৎসা-সহ বাকিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কী করে ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহত পর্যটকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সেকারণে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।”
Be the first to comment