বিধানসভা নির্বাচনের পর শনিবারই ছিল তৃণমূলের অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক । সেই কর্মসমিতির বৈঠক একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ রদবদল হয়েছে। প্রত্যাশা মতোই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মূল দলের বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
পাশাপাশি ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে জেলাস্তরে তৃণমূলে কোন রদবদলের সম্ভাবনাও জোরালো হয়েছে। রাজনৈতিরক মহলের মতে, এদিন এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। একই ব্যক্তি যাতে সমস্ত পদ আঁকড়ে না থাকেন সেকারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। পাশাপাশি দলের অন্যান্যকে বাড়তি ওই পদগুলিকে ঠাঁই দেওয়া সম্ভব বলেও মত অনেকের। এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জেলাস্তরে একাধিক নেতৃত্ব আছেন যাঁরা একাধিক পদ আঁকড়ে বসে রয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁদের এবার ডানা ছাঁটা হয় কিনা এনিয়েও চর্চা চলছে জেলায় জেলায়।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক পদে কিছু রদবদল হতে পারে বলে দল সূত্রে খবর। মূলত উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের ফলাফল একেবারেই ভালো হয়নি। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল এই খারাপ ফলের জন্য দায়ী কীনা সেটাও খতিয়ে দেখছে দল। প্রয়োজনে একটি জেলাকে একাধিক ভাগে ভাগ করে নেতৃত্ব ও দায়িত্ব বণ্টন করার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে। এর জেরে সামগ্রিকভাবে কোন্দলের সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।
পাশাপাশি জেলাস্তরে নেতৃত্বের একাংশের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, মন্ত্রীদের লালবাতি চেপে ঘুরে বেড়ানোর প্রবণতাকে যে ভালো চোখে দেখছেন না খোদ নেত্রী সেটাও এদিনের বৈঠকে তিনি ইঙ্গিত দেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মাসখানেকের মধ্যে জেলাস্তরে যেখানে যেখানে পরিবর্তন করা সম্ভব সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এব্যাপার পর্যালোচনা করে নেত্রীর নির্দেশক্রমে সুব্রত বক্সি ঘোষণা করবেন।
Be the first to comment