
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দিল্লিতে চড়া সুর তুলল তৃণমূল। চলছে বাজেট পরবর্তী অধিবেশন। আর সেখানেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। ১০০ দিনের টাকা থেকে বঞ্চিত রাজ্য, সেই দাবিকে সামনে রেখেই এদিন সংসদে অধিবেশন শুরুর আগেই বিক্ষোভে সামিল হলেন তৃণমূলের সাংসদরা।
সংসদের বাইরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। মকর দ্বারের সামনে এদিন বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তারা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধায়ের সঙ্গেই ছিলেন সাংসদ জুন মালিয়া, সাগরিকা ঘোষ, সায়নী ঘোষ সহ অন্যান্য সাংসদরা।
এদিন বিক্ষোভের শুরুতেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিবরাজ সিং চৌহান বড়লোকদের দালাল। তিনি বড়লোকদের কথা ছাড়া আর কারোর কথা ভাবেন না। আমাদের রাজ্যের মানুষ কী দোষ করেছে? কেন সেখানকার গরীব মানুষ গুলো ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাবে না। দিনের পর দিন প্রতিবাদ দেখিয়েও সেগুলো কানেই তুলছে না কেন্দ্র”। এরপরই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দৃঢ় ভাষায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি বাংলার কথা ভাবেন। তা একদম ভুল কথা। আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা বিরোধী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বাংলা বিরোধী। তাই বাংলার কথা কেউ ভাবেন না। বাংলার মানুষদের দুঃখ-দুর্দশা ঘুরেও দেখছে না কেন্দ্র”।
মঙ্গলবার, তৃণমূলের বিক্ষোভের পাশাপাশি সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসও। কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা সহ কেরালার বিরোধী সাংসদরা সংসদে মনরেগা ইস্যু সহ কৃষক ঋণ নিয়ে প্রতিবাদ করেন এদিন। কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও অল্প সময়ের জন্য বিক্ষোভে যোগ দেন এদিন।
এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, “মনরেগা আইনের নীতি অনুসারে, যদি কাজের মজুরি ১৫ দিনের বেশি বিলম্বিত হয়, তাহলে তাদের সুদের আইন থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, কেরালার সমস্ত অঞ্চলে মনরেগা-র কর্মীরা তাদের বেতন পান না। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তরও পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পটি শেষ করার চেষ্টা করছে”।
একই সাথে কংগ্রেস সাংসদ প্রণিতি শিন্ডে বলেন, “যখন আমি কৃষি সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলাম এবং রেকর্ডে আনছিলাম যে মহারাষ্ট্রে, কৃষকদের বিক্ষোভের সময় ৩০,০০০ এরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন এবং ৭০০ এরও বেশি কৃষক মারা গেছেন, তখন আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল”। তাঁর কথায়, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল। কৃষকরা কেন কৃষি ছেড়ে দিচ্ছেন? কৃষকরা কেন আত্মহত্যা করছেন? কৃষকদের ঋণ দেওয়া কেন হচ্ছে না? এই সবই জানতে চাইছিলাম। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকার কেবল অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করছে”। এদিন মূলত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই ভাবেই সুর তুলে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে তৃণমূল – কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ চত্বরে।
Be the first to comment