সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে শুভেন্দুকে ‘সেন্সর’ করার দাবিতে কমিশনে তৃণমূল

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে উপনির্বাচনের প্রচারে ‘কমিউনাল হেট স্পিচ’ অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ৷ নির্বাচন কমিশনে এই নিয়ে অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস৷

শাসকদলের অভিযোগ, উপনির্বাচনের আগে বিজেপি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করছে। ‘কমিউনাল হেট স্পিচ’ ব্যবহার করে আগুন জ্বালাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা এক বক্তৃতার বিরোধিতা করে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এসে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস।


ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর তালডাংরা বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সভা থেকে তিনি বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন৷ এমনকি বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামকেও আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ৷
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন কুণাল ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে আসেন। তালডাংরা বিধানসভায় উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণের অংশ তুলে ধরে তাঁরা চিঠি দেন। বিরোধী দলনেতা তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়৷ সেই অভিযোগে তাঁকে সেন্সর করার দাবি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।
শাসকদলের তরফে বলা হয়, রাজ্যে শান্তির পরিস্থিতি রয়েছে৷ কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে রাজ্য অশান্তি। এই ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। বিজেপি জানে যে, তারা ছ’টি বিধানসভা আসনেই হারতে চলেছে৷ তাই তারা এ-ধরনের কাজকর্ম করছে বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ।
ওই তৃণমূল নেতা বলেন, “এই ধরনের ‘কমিউনাল হেট স্পিচ’ ব্যবহার করে আগুন জ্বালাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুনে ঘি ঢালার কাজটাও বিজেপির চক্রান্তের মধ্যেই থাকে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাদের হাতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের হাতে। অন্য রাজ্য থেকে লোক ঢুকিয়ে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনাও তাদের হাতে। তাই যখন ‘কমিউনাল হেট স্পিচ’ ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তার উপরে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে সেন্সর করুক। অন্য রাজ্য থেকে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে নির্বাচনে বিজেপি যদি কোনও অশান্তির সৃষ্টি করে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করে, তার দায় কে নেবে৷ এই ধরনের বক্তৃতা হচ্ছে চক্রান্তের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*