নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত ত্রিপুরা ৷ মঙ্গলবার বনধ ডাকেন পড়ুয়ারা। ১১ ঘণ্টা চলে অবরোধ। বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন পড়ুয়ারা। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। প্রকাশ্য়ে পোড়ানো হয় টায়ার। বিক্ষোভ চলাকালীন রাস্তা আটকানো হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় দুমাসের এক শিশুর। এছাড়াও ১১ ঘণ্টায় মোট ৪০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। বিজেপি সরকারের তরফে রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ও SMS পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷
তবে গুজব রুখতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ত্রিপুরা সরকারের দাবি। যদিও বিরোধীদের দাবি নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকারের এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আগরতলার একাধিক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের জমায়েত হয় ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে, ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। চলে স্লোগান। তাঁদের দাবি ছিল, এই বিতর্কিত বিলের আওতায় ত্রিপুরাকে রাখা চলবে না। রাজ্যপ্রশাসন বিক্ষোভ রোখার চেষ্টা করে। সেপাহিজালা জেলার বিশ্রামগঞ্জে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রুখতে শূন্যে চার রাউন্ড গুলি চালায় ৷ সেখানে প্রায় ১৫ জন আহত হন। ফলে আরও ভয়াবহ আকার নেয় বিক্ষোভ। আটক করা হয় রাস্তা। হাসপাতালে যাওয়ার পথে আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। মৃত্যু হয় দু’মাসের এক শিশুর।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে , গোমতী জেলার উদয়পুর থেকে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢালাই জেলার আম্বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এছাড়াও স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন ১৫ জন গ্রামবাসী। তিনটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যদিও সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন TTADC (ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল)-কে এই বিলের আওতায় রাখা হবে না।
গতকালের এই ১১ ঘণ্টার বনধ ত্রিপুরায় প্রভাব ফেলেছে। আপাতত রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। উল্লেখ্য, অসমের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারারাত ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে ৷
Be the first to comment