উত্তপ্ত ত্রিপুরায় ফের বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এবার সুস্মিতা দেবের সফরে তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ আনা হল ৷ বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার জন্য বিজেপি-কেই কাঠগড়ায় তুলেছে বাংলার শাসকদল ৷ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আক্রান্ত’রা আপাতত আগরতলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো ত্রিপুরার মাটি জয়ের লড়াইয়ে নেমেছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে দলে আসা সুস্মিতা দেব ৷ সেই মতোই বৃহস্পতিবার ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব ৷ সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী ৷ সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, পুজো দিয়ে ফেরার পথে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় ৷ তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা ৷ তাতে গুরুতর জখম হন বেশ কয়েকজন ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের আগরতলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷
এই ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতালে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ সঙ্গে ছিলেন সুস্মিতা দেবও ৷ হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁরা দু’জনেই হামলার জন্য বিজেপি ও বিজেপি আশ্রিত গুন্ডাদের দায়ী করেন ৷ ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় বিজেপি-র গুন্ডারা রোজ তৃণমূলের উপর হামলা চালাচ্ছে ৷ এটা কোনও সভ্য কার্যকলাপ হতে পারে না ৷ সুস্মিতা দলের কোনও কাজে যাননি ৷ ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন ৷ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ সঙ্গে দলেরই তিন-চার জন কর্মী ছিলেন ৷ তাঁদের মারধর করেছে বিজেপি-র গুন্ডারা ৷ এখন তাঁরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ৷’’
অন্যদিকে সুস্মিতা দেব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিজেপি যে ব্যবহার করছে, তা গণতন্ত্রের নিয়ম-বিরুদ্ধ ৷ আমরা এই হামলার ধিক্কার জানাচ্ছি ৷ সৎ সাহস থাকলে ভোটে লড়াই করুন ৷ আমাদের কর্মীদের মারধর করার কোনও মানে হয় না ৷’’ বিজেপি-র প্রতি সুস্মিতার হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা গুজরাত মডেলকে ভয় পাই না ৷ আমরা এই সমস্ত ধমককে ভয় পাই না ৷ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কতখানি সাহস রয়েছে, তা গত বিধানসভা নির্বাচনেই (পশ্চিমবঙ্গের ভোট) সবাই বুঝে গিয়েছেন ৷ আমরা এক পা-ও পিছু হঠব না ৷ আপনাদের যা প্রস্তুতি নেওয়ার নিয়ে নিন ৷’’
Be the first to comment