স্টারলাইট বন্ধের দাবিতে বুধবার ফের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত হল এক যুবক। মঙ্গলবার পরিবেশ দূষণের জেরে বেদান্ত গোষ্ঠীর স্টারলাইট তামার কারখানার বন্ধের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে তুতিকরনের। জনতার বিক্ষোভে পুলিসের গুলি চালালে নিহত হয় অন্তত ১২। অাহত অন্তত ৮০। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অাশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভে সামিল হন প্রায় ২০হাজার মানুষ। দ্য হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী হিংসাত্মক বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস গুলি চালায়, নিহত হন অন্তত ৯জন। কমল হাসান ও ডিএমকে নেতা স্টালিন জানিয়েছেন ৩ মাস ধরে মানুষ প্রতিবাদ করে অাসছিল কিন্তু প্রশাসন কোন কর্ণপাত করেনি। ডিএমকের তরফে গুলি চালানোর ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালবাগের গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য সেই বস্তাপচা যুক্তি, বাধ্য হয়েই পুলিস গুলি চালিয়েছে, বলে জানান হয়েছে।ভোটের বাজারে সম্ভব ভোটের ধরতে ঝাপিয়ে পড়ছে সব দলই। এতদিন তারা কী করছিল সেই প্রশ্ন করলে ডিএমকে নেতা স্টালিন হয়তো সাংবাদিককে চড়ই কষিয়ে দেবেন।
এবছরের ৩১ মার্চ শেষ হয় ওই কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ। স্টারলাইটের( বেদান্তের ভারতীয় কোম্পানি) এই কারখানা বন্ধের দাবিতে গত ২৪ মার্চ রাতে ১৫হাজার মানুষের প্রতিবাদে সামিল হন তামিলনাড়ুর তুতিকোরনে। বাসিন্দাদের দাবি নতুন করে কারখানার লাইসেন্স আর নবীকরণ না করা হয়। কারখানার জন্য চারপাশের জল ও বায়ু দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এই দাবি তে সরব নাগরিকরা বন্ধ রেখেছিলেন তুতিকরণের দোকানপাট।
২০১৩ সালের মার্চেও একবার বন্ধ হয়েছিল এই কারখানা। সেবার গ্যাস লিকের কারণে। এর পরে তা ফের চালু হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টও বেদান্তের এই কারখানাকে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল একসময়। কিন্তু তার পর সব আগের মতই। ভূপালের পরেও আজও আমরা শিক্ষা নিতে রাজি নই। করপোরেট লোভের সামনে মানুষের সম্বল বোধ হয় শুধুই প্রতিবাদ। বৃথা যাবে না মানুষের এই রক্ত।
Be the first to comment