বাংলাতেও প্রবলভাবে ছড়াচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ভোটের মাঝে শুধু আমজনতা নয়, একের পর এক প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটেছে তার মাঝেই। এবার করোনার কবলে পড়লেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিদায়ী তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল বিশ্বাস। অসুস্থতার কারণে ওই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবিবারের সভাতে উপস্থিত ছিলেন না উজ্জ্বল বাবু। আর করোনার রিপোর্ট আসতেই জানা গেল, মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে।
আপাতত বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে আছেন রাজ্যের এই বিদায়ী মন্ত্রী। তবে, আশা করছেন, প্রচারে বেরোতে না পারলেও দলের কর্মীদের ঐকান্তিক চেষ্টা আর দলনেত্রীর মুখ, এই দুই সম্বলেই ভোট বৈতরণী পেরিয়ে যাবেন তিনি। আপাতত বাড়িতেই তিনি আইসলেশনে থাকবেন তিনি। বাড়ির লোকেদের থেকে নিজেকে সম্পূর্ন আলাদা রেখেছেন। নেতা কর্মীরা সকলেই তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন। গতবছর করোনা পরিস্থিতিতে উজ্জ্বল বিশ্বাসকে রাস্তায় নেমে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল। এবার তিনিই করোনা আক্রান্ত।
ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজের কেন্দ্রে ভোটের আগেই প্রাণ হারিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী প্রদীপ নন্দী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
RSP প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর মৃত্যুতে স্থগিত করা হয়েছে জঙ্গিপুর আসনের নির্বাচন। সপ্তম দফায় ওই কেন্দ্রে ভোট ছিল। তা হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৬ এপ্রিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রদীপ নন্দীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃসদন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই প্রদীপ নন্দীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছিল। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমশ নিচে নামছিল। এরপর বৃহস্পতিবার প্রাণ হারান তিনি।
অপরদিকে, গত বুধবারই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাসের। ওইদিনই মুর্শিদাবাদে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ধুলিয়ান পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবল সাহারও। প্রসঙ্গত জঙ্গিপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী জাকির হোসেন বোমা বিস্ফোরণ হামলায় গুরুতর জখম। SSKM-এ ভর্তি থাকায় তিনিও প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। হাসপাতাল থেকেই নির্বাচনে লড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী। মাঝে একদিনের জন্য প্রচারে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
Be the first to comment