উল্টোডাঙ্গার গৃহবধূ অর্চনা পালংদারের মৃত্যুতে সামনে এল নতুন তথ্য। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই ধর্মতলার হোটেলের ঘরে অর্চনাকে খুন করেন প্রেমিক বলরাম। পরে আত্মঘাতী হন তিনি নিজেও। দেহ লোপাট করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তদন্তের পর এমনটাই জানিয়ে পুলিশ।
বলরামের ফোনের কললিস্ট ঘেঁটেই খুনের সূত্রে আসে পুলিশের হাতে। সেই সূত্র ধরেই ঝাড়খণ্ড থেকে ওই হোটেলের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই হোটেলকর্মী গ্রেফতারের পরেই প্রকাশ্যে আসে আসল তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম আশিস যাদব। প্রসঙ্গত আশিস এবং বলরাম দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
জেরায় আশিস জানিয়েছেন, সম্পর্ক নিয়ে টানপোড়েনের জেরে বচসা বাঁধে বলরাম এবং অর্চনার মধ্যে। এরপরেই অর্চনাকে খুন করেন বলরাম। তারপর নিজেও আত্মঘাতী হন। হোটেলের বদনাম হওয়ার ভয়ে দেহ লোপাট করে দেন হোটেলকর্মীরা। বস্তাবন্দি করে অর্চনার দেহ ফেলে আসা হয় আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও বলরামের দেহের খোঁজ মেলেনি।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দুপুর বেলা মোবাইল সারানোর নাম করে উল্টোডাঙার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অর্চনা। তারপর আর ফেরেননি। স্থানীয় থানায় মিসিং ডাইরি করে শ্বশুরবাড়ির লোক। স্বামী খোঁজ করতে যান অর্চনার বাপের বাড়ি জানবাজারেও। বৃহস্পতিবার চৌবাগার আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনের সামনে বস্তাবন্দি একটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরনে লাল কুর্তি আর কালো লেগিংস। সংবাদপত্রে ছবি দেখে শুক্রবার মর্গে গিয়ে স্ত্রী’র দেহ শনাক্ত করেন স্বামী পিন্টু।
এই খুনের ঘটনায়, প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল অর্চনার প্রেমিক বলরামের উপর। প্রথম থেকেই পুলিশে অনুমান ছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হয়েছে অর্চনাকে। শনিবার সকালে আশিস যাদবের গ্রেফতারের পর সেই অনুমান এ বার সত্যি হলো।
Be the first to comment