রাত থেকে অগ্নিগর্ভ উলুবেড়িয়া

Spread the love

ভেবেছিলেন এবারে নিশ্চয় দলের টিকিট মিলবে। এতদিন এলাকার বাইরের মানুষকে প্রার্থী করেছে দল। একুশে অনেক বদলে আব্বাসউদ্দীন খান ভেবেছিলেন ইদ্রিস আলিকে সরিয়ে এবার তাঁকেই তৃণমূল টিকিট দেবে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই সে গুড়ে বালি পড়েছে। ইদ্রিশকে তো টিকিট দেয়ইনি দল। টিকিট পেয়ে গিয়েছে তাঁর অনুগামীদের কথায় আরও এক ‘বহিরাগত’। এতেই ক্ষোভ আব্বাসউদ্দীন খান ও তাঁর অনুগামীদের।

দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে ‘ভূমিপুত্র’ আব্বাসউদ্দীন খানকে প্রার্থী করার দাবিতে জোর রব উঠেছিল উলুবেড়িয়ায়। কিন্তু, শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায়, এবার ইদ্রিস আলির পরিবর্তে প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসুকে উলুবেড়িয়া পূর্ব থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে আব্বাসউদ্দীন খানের অনুগামীরা।

উলুবেড়িয়া কলেজ গেট, গোরুহাটা মোড়, বাউরিয়া সহ একাধিক জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তার উপর শুয়ে দলীয় পতাকা দেখান কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উলুবেড়িয়া শহর। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা ‘বহিরাগত’ বিদেশ বসুকে প্রার্থী হিসাবে মানবেন না। এখানকার ‘ভূমিপুত্র’ আব্বাসউদ্দীন খানকেই প্রার্থী করতে হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আজ শনিবার বেলা তিনটে থেকে ফের বিক্ষোভ দেখাবেন আব্বাসের অনুগামীরা। এমনটাই খবর মিলছে।

এই ঘটনা তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বেরনোর পর থেকে অনেক জায়গাতেই ঘটে। কান্নায় ভেঙে পড়েন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। কান্না ছিল সোনালী গুহের চোখেও। কিন্তু আরাবুলের প্রার্থীতালিকায় নাম না দেখেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হয়। দেখা যায় ভাঙড়ে দলের প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক রেজাউল করিম। এর পরই দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পড়েন আরাবুল ইসলামের অনুগামীরা। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের সামনে ব্যারিকেড করে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ তোলেন তাঁরা। স্লোগান তোলেন, আরাবুল ইসলামকে প্রার্থী করতে হবে।

বিক্ষোভ চলাকালীনই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন আরাবুল ইসলাম। তাতে তিনি লেখেন, দলে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বুথ থেকে উঠে আসা মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এই দলটাকে বুকে আঁকড়ে বড় করেছি। আজ ভাঙড়ের মানুষ যেটা বলবে সেটাই করবো’।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*