কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হলেন উমাকান্ত বর্মন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ফের তেতে উঠল জেলার রাজনীতি।
কোচবিহারে বেশ কিছুদিন ধরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদল। মাদার-যুব সংঘাতে রক্ত ঝরছে নিয়মিতই। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক উদয়ন গুহ বনাম সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ও যুবনেতা নিশীথ প্রামাণিকের দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট যে তা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন রাজ্য নেতারা। এমনকি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সাবধানবানীতেও কাজ হয়নি বিশেষ। এছাড়াও নানা গোষ্ঠীর লড়াইতো রয়েইছে।
সেই কোচবিহারই নতুন করে তেতে উঠল জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন ঘিরে। নতুন সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন, বিনয় বর্মনের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই জেলার রাজনীতিতে পরিচিত। তাঁকে সভাধিপতি করা হচ্ছে আঁচ পেয়েই গতকাল রাত থেকে উত্তপ্ত হতে শুরু করে কোচবিহার। অশান্তির আশঙ্কায় বসানো হয় কড়া পুলিশ পাহারা। জারি হয় ১৪৪ ধারা। আজ উমাকান্তবাবু সভাধিপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই উত্তেজনা দেখা দেয়।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও উদয়ন গুহর ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। দফায় দফায় পোড়ানো হয় উদয়ন গুহ ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের ছবি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভও দেখানো হয়। উদয়ন গুহর ছবি ছাপানো পোস্টারে লেখা হয় কুরুচিকর মন্তব্য। এঁরা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি জলিল আহমেদের অনুগামী বলে অভিযোগ। তবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “যাঁরা এ সব করেছেন, তাঁরা দলের কেউ নন।”
এ দিন পুলিশের তৎপরতায় বড় মাপের অশান্তি রুখে দেওয়া সম্ভব হয়।
Be the first to comment