মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে ব্যবসায়ী খুন, নূপুরের সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের পরিণতি

Spread the love

নূপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুক পোস্ট করায় খুন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে। রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়া লাল খুনের এক সপ্তাহ আগে অমরাবতীতে নৃশংসভাবে খুন হন উমেশ প্রহ্লাদ রাও কোলহে নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রের খবর, ২১ জুন রাতে নিজের ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে উমেশকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিসের অনুমান, নূপুর শর্মার বক্তব্যের সমর্থনে উমেশ একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। তার জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। উমেশের পরিবারেরও এমনটাই অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার।

উমেশের ছেলে সংকেতের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হল মুদস্সর আহমেদ এবং শাহরুখ পাঠান। তাদের জেরা করে ঘটনার পিছনে আরও চারজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পেরেছে সিটি কোতয়ালি থানার পুলিস। তাদের মধ্যে আব্দুল তৌফিক, শোয়েব খান এবং আতিব রশিদ নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামিম আহমেদ বলে আর এক যুবক পলাতক।

পুলিস জানায়, ঘটনার রাতে উমেশ স্কুটারে বাড়ি ফিরছিলেন। অন্য একটি স্কুটারে ছিলেন তাঁর ছেলে সংকেত এবং পুত্রবধূ বৈষ্ণবী। লিখিত অভিযোগে সংকেত জানান, তাঁরা মহিলা কলেজ নিউ হাই স্কুলের গেটের কাছে যখন পৌঁছন, তখন মোটর সাইকেলে চেপে দুই ব্যক্তি তাঁর বাবার স্কুটারের সামনে আসে। তারা বাবাকে থামতে বলে। বাবা স্কুটার থামাতেই একজন তাঁর গলার বাঁ দিকে ছুরি চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় উমেশ রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। সংকেত স্কুটার থামিয়ে চেঁচিয়ে লোক জড়ো করার চেষ্টা করেন।

সেই সময় আর একজন ব্যক্তি চলে আসে সেখানে। তারপর তিনজন ওই মোটর সাইকেলে চেপেই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে উমেশকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
কোতয়ালি থানার এক অফিসার জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে, পলাতক শামিম তাদের ১০ হাজার টাকা এবং একটি গাড়ি দিয়েছিল পালিয়ে যাওয়ার জন্য। ওই অফিসার জানান, শামিমই ওই পাঁচজনকে উমেশকে খুনের বরাত দেয়। সে দুজনকে উমেশের উপর নজরদারি চালাতে বলেছিল। উমেশ দোকান ছাড়ার পর বাকি তিনজনকে শামিম সতর্ক করে দেয়। তার পরেই খুনের ঘটনা ঘটে।

এক পুলিস কর্তা জানান, উমেশ হোয়াটসঅ্যাপে নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করে একটি পোস্ট প্রচার করেন। যে গ্রুপে তিনি সেটি পোস্ট করেন, তা মুসলিম সদস্যদের নিয়ে গঠিত। শুধু তাই নয়, তারা উমেশের দোকানের নিয়মিত খদ্দেরও। ভুলবশতই উমেশ গ্রুপে পোস্টটি প্রচার করেছিলেন। ধৃতদের মধ্যে একজন পুলিসকে বলেছে, উমেশ পয়গম্বরকে অপমান করেছে। কাজেই তাকে মরতেই হত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*