বিধংসী সাইক্লোনে বিধ্বস্ত বাংলা। নেই নেটওয়ার্ক, এখনও পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে বাংলার একাংশ। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে রীতিমত শশ্মানের চেহারা বাংলার একাংশে। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ মৃত্যুর খবর আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। এখনও পর্যন্ত যে খবর রাজ্যের কাছে এসেছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত আমফানে রাজ্যে মৃত ৭২।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু কলকাতায় কলকাতা ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছ। এছাড়া সুন্দরবনে ৪ জনের, হাওড়ায় ৭ জনের, উত্তর ২৪ পরগনা ১৭ জনের, পূর্ব মেদিনীপুর ৬ জনের, চন্দননগর ২ জনের, বারুইপুর ৬ জনের এবং ডায়মন্ডহারবারে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যদের প্রশাসনিক প্রধান।
আজ বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলা ও গুরুুুুুুুুত্বপর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জেলাগুলির পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বাংলায় ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেক মানুষকে সরানো হয়েছে বলে বহু মানুষের মৃত্যু আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে দুর্ভাগ্য অনেক মানুষের ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে। তবে সরকার পাশে আছে মানুষকে ভইয় না পাওয়ার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে, মৃতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে অমিত শাহ ফোন করেছিলেন। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। আশা করা যায়, সাহায্য করবেন। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত পাওয়া যায় কিছু বলার নেই। মুমহ্যম্লন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে হাজার কোটির তহবিল তৈরি করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে দুই ২৪ পরগনা পরিদর্শন করতে বের হবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরিস্থিতি দেখে শনিবার দুই ২৪ পরগনা পরিদর্শন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
Be the first to comment