চারজন মিলে ধর্ষণ করেছিল। ১৫ দিন লড়াইয়ের পর উত্তর প্রদেশের হাতরাস অঞ্চলের ১৯ বছরের দলিত যুবতীর মৃত্যু হল। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা নাগাদ দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে ওই মহিলা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দিন পনেরো আগে তাঁকে প্রথমে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে আসা হয় সফদরজঙে। এদিন পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট ভিক্রান্ত বীর তাঁর মৃত্যুর খবর সুনিশ্চিত করেছন।
তিনিই জানাচ্ছেন, অপরাধীরা কেবল ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। ১৪ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে যান ওই যুবতী। তার পর থেকে তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক পরিত্যক্ত জায়গায় তাঁর খোঁজ মেলে। অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন তিনি। শরীর ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। তাঁর জিভও ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল।
পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করায় তিনি নিজের জিভে কামড় দিতে বাধ্য হন। প্রসঙ্গত এই ঘটনার চার অভিযুক্তই গ্রেফতার হয়েছে। তাদের হাতরাস কোতোয়ালি থেকে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দলিত যুবতীর মৃত্যু নিয়ে বিএসপি মায়াবতীও এক হাত নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, সমাজের একটা অংশ এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয়। বিএসপি চায়, সরকার এই বিষয়টায় নজর দিক।
টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। এই নারকীয় দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী এখনও নিশ্চুপ কেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি লেখেন, বারবার মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ছে কেন? বাংলার মানুষ কখনোই ভুলবে না যে বিজেপি মহিলাদের সম্মান জানাতে জানে না।
Be the first to comment