বিজেপিতে এসে মিলল না টিকিট, লখনউয়ের প্রার্থী তালিকায় নেই মুলায়মের ‘ছোটি বহু’র নাম

Spread the love

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে সমাজবাদী পার্টির অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অখিলেশ যাদবের পরিবারের সদস্য অপর্ণা যাদব। মনে করা হচ্ছিল লখনউ ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরের টিকিট পাবেন তিনিই। কিন্তু বুধবার আশাভঙ্গ হল মুলায়ম যাদবের পুত্রবধূর। এদিন বিজেপি লখনউয়ের ৯ জন প্রার্থীর যে তালিকা প্রকাশ করেন, তাতে দেখা গিয়েছে অপর্ণা কিংবা বিজেপি সাংসদ রীতা বহুগুণার ছেলে মায়াঙ্ক যোশী, যাঁদের টিকিট পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন ছিল, তাঁরা কেউই টিকিট পাননি।

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি লখনউ। গতবার এখানকার ৯টি আসনের মধ্য়ে ৮টি আসনেই জয়ী হয়েছিল তারা। এবারও আলাদা করে এই নিশ্চিত আসনগুলি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই শেষ পর্যন্ত দলত্যাগী অপর্ণা নয়, দলেরই এতদিনের সদস্য ব্রিজেশেই আস্থা রাখল দল। জল্পনা ছিল লখনউ ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে।

মনে করা হচ্ছিল মায়াঙ্ক অথবা অপর্ণা- এঁদের মধ্য়েই একজনকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক ওই টিকিট পান। উল্লেখ্য, রীতা বহুগুণা যোশী আগের বার এই কেন্দ্র থেকেই সমাজবাদীর পার্টির প্রার্থী হওয়া অপর্ণাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তবে গুঞ্জন ছিল রীতার ছেলেকে নিয়েও। টিকিট তিনিও পাননি। ফলে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, বিজেপি নেত্রীর পুত্র যোগ দিতে পারেন সমাজবাদী পার্টিতে। যদিও সেই গুঞ্জন এককথায় উড়িয়ে দিয়েছেন রীতা।

সমাজবাদী পার্টির মার্গদর্শক তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের ছোট ছেলে প্রতীক যাদবের স্ত্রী অপর্ণার যোগদান যে তাঁর দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল তা বলাই বাহুল্য। আসলে পরপর দলিত মন্ত্রী-বিধায়কদের বিজেপি শিবির ত্যাগকে কেন্দ্র করে চাপে পড়েছিল যোগীর দল। এই পরিস্থিতিতে অপর্ণাকে দলে নিয়ে পালটা জবাব দিতে পেরেছে তারা।

এদিন প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন ইডির সদ্য অবসপ্রাপ্ত অফিসার রাজেশ্বর সিং। এদিনই তাঁর স্বেচ্ছা অবসরের আরজি মঞ্জুর করে কেন্দ্র। তারপরই সরোজিনী নগরের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়। এদিকে লখনউ পূর্ব থেকে আশুতোষ ট্যান্ডন টিকিট পেয়েছেন। লখনউ সেন্ট্রালের প্রার্থী হয়েছেন রজনীশ গুপ্তা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*