গাড়িতে লাগানো বিজেপি পতাকা। তা পিষে দিল কৃষকদের। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশে লখিমপুর খিরি জেলায়। তার জেরে চারজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রীতিমতো ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। তিনটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন ক্ষুব্ধ লোকজন। একটি মহলের তরফে তাঁদের কৃষক বলে দাবি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন কৃষক। চারজন ওই গাড়িতে ছিলেন।
জানা গিয়েছে, রবিবার লখিমপুর খিরি জেলায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের একটি অনুষ্ঠান ছিল। তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য অনেক কৃষক জমায়েত শুরু করেন। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, তারইমধ্যে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। যে গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানো ছিল। তার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা। গাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। দু’টিগাড়িতে চালানো হয় ভাঙচুর।
এদিকে হিংসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। কৃষকদের আখের খেতে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও পুলিশকর্মীদের আনা হয়েছে। তারইমধ্যে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লখিমপুর খিরির অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই ফিরে যান উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে গাজিপুর সীমান্ত থেকে লখিমপুর খিরির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত।
তবে এদিন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই টুইটারে তীব্র নিন্দা জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে মৃত ও আহতদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষকরা আমাদের সম্পদ, বিজেপির এই নারকীয় হত্যালীলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মমতা বলেন, সোমবারই তৃণমূলের ৫ সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
Be the first to comment