নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর খুন, কেটে নেওয়া হল যকৃত সহ একাধিক অঙ্গ

Spread the love

(প্রতীকী ছবি)

দীপাবলির রাতে আতসবাজির লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে । শুধু তাই নয়, তার শরীর থেকে যকৃত, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলি, ফুসফুসের মতো অঙ্গ বের করে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ৷ কুসংস্কারের জেরেই এক দম্পতির থেকে টাকা নিয়ে দুই যুবক একাজ করেছে বলেও জানা গেছে ৷ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷

বিয়ের ২১ বছর পরও কানপুরের ভদ্রাস গ্রামের এক দম্পতি সন্তানহীন ৷ ডাইনি বিদ্যা ও কালো জাদুতে বিশ্বাসী ওই দম্পতির বিশ্বাস ছিল, কোনও নাবালিকার যকৃত খেলে তাদের ঘরে সন্তান আসবে ৷ সেইমতো ওই দুই যুবককে সুপারি দেয় তারা ৷ আর দীপাবলির রাতে আতসবাজির লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের ওই নাবালিকাকে বাড়ির কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় দু’জন ৷ সেখানে ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে শরীরের একাধিক অঙ্গ বের করে ওই দম্পতিকে দেয় তারা ৷ রবিবার জঙ্গল থেকে নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷

SP (রুরাল) ব্রিজেশ কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, “অভিযুক্তরা জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ৷ এই কাজের জন্য তাদের ১৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷ শারীরিক নির্যাতনের পর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ৷ পরে মেয়েটির যকৃত ওই আত্মীয়ের হাতে তুলে দেয় তারা ৷”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত অঙ্কুন কুরিল ও ভিরান আত্মীয় পরশুরামের হাতে নাবালিকার যকৃত ও হৃৎপিণ্ড দেয় ৷ সন্তানের আশায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরশুরাম সেগুলি স্ত্রী সুনয়নার হাতে তুলে দেয় ৷ যকৃত খেয়ে কয়েকটি অঙ্গ কুকুরকে খাওয়ায় তারা ৷

খুনে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ ওই দুই যুবকের পাশাপাশি দম্পতিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*