সরকারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভিযোগ, সরকার তাদের স্বশাসনে নাক গলাচ্ছে। অর্থমন্ত্রকের পাল্টা অভিযোগ, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে যখন অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বাড়ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চুপ করে বসেছিল। এই বিতর্কের জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বাজারে ওই গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে সরকারি বন্ড বেচতে শুরু করেছেন।
আরবিআই আইনের সাত নম্বর ধারায় আছে, সরকার জনস্বার্থে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিতে পারে। একটি সূত্রের খবর, সরকার ওই ধারা ব্যবহার করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণদান, দুর্বল ব্যাঙ্ক, নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা ও আরও কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দেয়। তা থেকেই শুরু হয় বিতর্ক ।
এর আগে কখনও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর যদি ইস্তফা দেননি। যদি উৰ্জিত প্যাটেল ইস্তফা দেন, তা হলে নানা মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। বিদেশী ব্যাঙ্কের এক কর্তা বলেছেন, সরকারের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ব্যাপারে নাক গলানো বন্ধ করা উচিত।
Be the first to comment