অংশুমান চক্রবর্তী
৩ সেপ্টেম্বর পালিত হল মহানায়ক উত্তমকুমারের জন্মদিন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে টালিগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হল বিভিন্ন অনুষ্ঠান। মাল্য অর্পণ করা হয় মহানায়কের মূর্তি এবং ছবিতে। উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয় মহানায়কের সিনেমা। রেডিওয় বাজানো হয় মহানায়কের বিভিন্ন ছায়াছবির গান। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন মানুষ স্মরণ করেন রূপোলি পর্দার আইডলকে।
আরও একবার প্রমাণিত, চার দশক আগে যে মানুষটি চিরবিদায় নিয়েছেন, আজও তাঁকে ভুলতে পারেননি আপামর বাঙালি দর্শকরা। পর্দায় তিনি হাজির হলে আজো থমকে যায় বাঙালি জনজীবন। শুধু কথা বলে দুটি চোখ। সামনে শুধু তিনি, মহানায়ক উত্তমকুমার। কখনও তিনি তুমুল প্রেমিক, কখনো তিনি সুসন্তান, কখনো তিনি অবাধ্য, কখনো তিনি বন্ধুর মতো দাদা। গঙ্গা দিয়ে প্রতিনিয়ত বয়ে যায় জল। পুরোনো প্রজন্মকে সরিয়ে আসে নতুন প্রজন্ম।
তবে কিছুতেই কমে না বাঙালির উত্তমপ্রেম। কী জাদু লুকিয়ে আছে সাদাকালো পর্দা জুড়ে, জানা নেই। তবে আছে। কিছু একটা তো আছেই। আছেন তিনি। তিনি ‘নায়ক’। তবে নায়ক তো অসংখ্য, কিন্তু মহানায়ক একজনই। তিনি পর্দা জুড়ে রচনা করেন কবিতা। তাঁর কবিতার মৌতাতে বুঁদ হয়ে যান বিভিন্ন প্রজন্মের প্রতিটি বাঙালি। তাঁকে স্বীকার অথবা অস্বীকার করার জন্য।
Be the first to comment