বোনের মাথা কেটে রক্তমাখা ছুরি হাতেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল যুবক

Spread the love
পরিবারের অমতে বিয়ে করতে বারণ করেছিল বাবা এবং ভাই। কিন্তু, শোনেনি মেয়েটি। ভালবাসার মানুষের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিল সে। তার ফলও হল মারাত্মক।  প্রকাশ্যেই বোনের মাথা কাটবে বলে হুমকি দিয়েছিল ভাই। সেটা করেও দেখাল সে। ছুরি দিয়ে নৃশংস ভাবে বোনের মাথা কেটে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে রক্তমাখা ছুরি হাতেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল যুবক।
ঘটনাটা ঘটেছে শনিবার ভোররাতে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। জাকির কলোনীর বাসিন্দা গুলফাসান ওরফে গুল্লুর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ওই কলোনীরই  যুবক আবিদের। কিন্তু, সেই সম্পর্ক মেনে নেননি গুলফাসানের বাবা কাল্লু গাজি এবং তার ভাই মহম্মদ। সপ্তাহ দুই আগে আবিদের সঙ্গেই পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে গুল্লু। জাকির কলোনী থেকে বেশ কিছুটা দূরে লক্ষীপুরা এলাকায় নতুন সংসার পাতে তারা।
বোনের পালিয়ে যাওয়া ভাল চোখে দেখেনি মহম্মদ। কলোনীতে প্রকাশ্য়েই সে ঘোষণা করে বোনের মাথা কেটে তাকে শাস্তি দেবে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে লক্ষীপুরে গিয়ে সে বোনকে বলে বাড়ি ফিরতে কারণ বাবার শরীর খারাপ। ভাইয়ের কথায় রাজি হয়ে যায় গুলফাসান। কলোনীতে ঢুকে বাড়ি না ফিরে গুলফাসানকে একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় মহম্মদ। সেখানেই নির্মম ভাবে মাথা কেটে তাকে খুন করে সে। দেহ সেখানেই ফেলে রেখে বাড়ি ফিরে প্রতিবেশীদের জানায় সে বোনকে খুন করে এসেছে। পুলিশে খবর দেন এলাকার বাসিন্দারাই।
পুলিশকে মহম্মদ জানিয়েছে, ‘‘পরিবারের সম্মান আমার কাছে অনেক বড়। বোন সেটা মানেনি তাই তাকে শাস্তি পেতে হল। ভবিষ্যতে যে কেউ পরিবারের সম্মান ভাঙবে তাকেও শাস্তি পেতে হবে।’’
উত্তরপ্রদেশ হোক বা রাজস্থান সম্মানরক্ষার্থে খুন বা ‘হনর কিলিং’ তার বীভৎসতার মাত্রা ছাড়াচ্ছে। কখনও বাবা মেয়েকে আবার কখনও ভাই, কাকা-সহ পরিবারের অন্যান্য়রা মিলে নৃশংস হত্যালীলায় মেতে উঠছে। পুলিশের ধরপাকড় এবং প্রশাসনের সতর্কতাতেও যে কোনও লাভ হয়নি তা মেরঠের প্রত্যন্ত এলাকার এই ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*