লাগাতার বৃষ্টিতে গত মাসেই স্রোত বেড়েছিল কেম্পটির জলপ্রপাতের। ধীরে ধীরে বাড়ছিল জলস্তরও। রবিবার সেটাই বন্যার মতো আছড়ে পড়ল উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে। পাহাড় বেয়ে প্রবল স্রোতে নামতে শুরু করল জলধারা। ভাসিয়ে নিয়ে গেল দোকানপাট।
পুলিশ জানিয়েছে, পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে গোটা এলাকায়।
৪০ ফুট কেম্পটি জলপ্রপাত মুসৌরির অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। সারা বছর এখানে পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। জুলাই মাসেও ভারী বৃষ্টির কারণে জলস্তর বেড়েছিল কেম্পটির। সেই সময়েও আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। আবহবিদদের মতে, গত দু’দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের নানা জায়গায় লাগাতার বৃষ্টি চলছে। সেই জন্যই জলপ্রপাতের স্রোত অনেক বেড়ে গিয়েছে।
রবিবারও এলাকায় পর্যটকের ঢল ছিল। আচমকাই প্রবল বেগে নেমে আসতে শুরু করে কেম্পটির জলধারা। রাস্তাঘাটে জল জমে যায়। জলের তোড়ে ভেসে যায় কয়েকটি দোকানও। খুূব দ্রুত ওই এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
গত ৪৮ ঘণ্টায় লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরপ্রদেশের ১৬টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৬ জনের। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা শাহজাহানপুরের। হেলিকপ্টার নামিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে বায়ু সেনা।
টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ১৬টি জেলায়া। এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে বায়ুসেনা।
Be the first to comment