মুম্বইয়ের পর উত্তরাখন্ড। গত দুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পরিস্থিতি। এই পর্যন্ত প্রায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে রাজধানী দেরাদুন থেকে। এর মধ্য চারজনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসের ফলে বিল্ডিং ভেঙে পড়ে। আগামি তিন দিনও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগাম সতর্কতা হিসেবে এখন থেকেই স্কুলকলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যেই ভূমি ধসের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেহাল দশা ৯৪ নম্বর জাতীয় সড়কের। চাম্বা থেকে হৃষিকেশগামী এই সড়কের ফাকোট থেকে ভিন্নু রাস্তা পুরোপুরি অবরুদ্ধ। এদিকে প্রশাসনের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে, বেড়ে চলেছে নদীর জলস্তরও। বুধবার সকালেই নেপাল বর্ডার সংলগ্ন পিথোড়াগড়ের একটি ব্রিজ জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার খবর মিলেছে। চামোলি, পৌরী ও রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অত্যধিক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ইতিমধ্যেই সমস্ত আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশিকা জারি করেছেন। পরিস্থিতির দিকে নিরন্তর কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের আতঙ্ক এখনও টাটকা। বলা হয়ে থাকে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ম্যানমেড বিপর্যয়। প্রাণহানি ঘটে প্রায় ৫,৪৭৮ জনের। হাজার হাজার পর্যটক বিভিন্ন অঞ্চলে আটকা পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী নামাতে হয়। এবার তাই আগে থেকেই যে কোনও পরিস্থিতি মোকবিলার জন্য প্রশাসনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে
Be the first to comment