শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর চেষ্টা। পথেই গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল দুই দুষ্কৃতী। হাসাপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আক্রান্ত তরুণী। ফের প্রশ্নের মুখে যোগীর রাজ্যের নারী সুরক্ষা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে।
সুত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত হয় ২৯ নভেম্বর। শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে রাজেশ ও রামু নামের দুই পরিচিত যুবক তাঁর শ্লীলতাহানি করে। কোনও রকমে তাম্বোর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে বিষয়টি জানান ওই তরুনী। কিন্তু তাঁর অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাড়িতে এসে ১০০ ডায়াল করে পুনরায় ঘটনাটি পুলিশকে জানান। সেবার বাড়িতে পুলিশ এসে, তাঁকে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয়। সেইমতো গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি অভিযোগ জানাতে যান থানায়। কিন্তু যেভাবেই হোক, খবর পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। তাঁকে জোর করে রাস্তার পাশে একটি মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুই অভিযুক্ত। যন্ত্রণায় চিত্কার করতে থাকেন তিনি। ছুটে আসে আশেপাশের মানুষ। তাঁরাই কোনরকমে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
জানা গেছে, তরুনীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশই আগুনে ঝলসে গেছে। মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতিরও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ডিআইজি ওপি সিং জানান, রামু ও রাজেশকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও তাম্বোর থানার এসএইচও ওম প্রকাশ সরোজকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে থানার হেড কনস্টেবলকেও। আউটপোস্ট-ইন-চার্জ মনোজ কুমারের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেনে নেন পুলিশ আরও একটু সক্রিয় হলেই, এই মর্মান্তিক পরিনতি ঠেকানো যেত।
Be the first to comment