পরীক্ষার খাতায় নিজের উপর হওয়া যৌন নিগ্রহের ঘটনার বিবরণ দিয়েছিল নাবালিকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার কাকাকে জেলে পাঠাল পুলিশ। সেইসঙ্গে একই অভিযোগে নাবালিকার তুতো ভাইকে পাঠানো হলো কারেকশনাল হোমে।
ঘটনাটি নজরে আসে ১ অক্টোবর। ইউনিট টেস্টের খাতায় নিজের উপর হওয়া যৌন নিগ্রহের বিবরণ লেখে উত্তরপ্রদেশের বাদশাহপুরের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। খাতায় সে লেখে তার তুতো ভাই তার যৌন নিগ্রহ করেছে। নাবালিকা জানায় যে ক্লাস ইলেভেনে পড়া তার তুতো ভাই তাদের সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকে। এছাড়াও সে জানায়, তার কাকা ( ঠাকুরদার বোনের ছেলে ), যে তাদের পাশের বাড়িতেই থাকে, মাঝেমধ্যেই তাদের বাড়ি এসে তাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়।
স্কুলের শিক্ষিকারা খাতায় এই কথা দেখে প্রধান শিক্ষিকাকে পুরো ব্যাপারটা জানায়। প্রধান শিক্ষিকা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ স্কুলকে জানায়, শিশু সুরক্ষা কমিটির কাছে সবটা জানাতে। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শকুন্তলা যাদব জানিয়েছেন, শিশু সুরক্ষা কমিশনের লোকেরা নাবালিকার বাড়ি গেলে জানতে পারে, তার মা ও অভিযুক্ত নাবালকের মা দুই বোন। একই বাড়িতে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। সেখানে গিয়ে নাবালিকা ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন শকুন্তলা ধুল জানিয়েছেন, নাবালিকা খুব আতঙ্কে আছে, তাই এখনও পর্যন্ত তার বয়ান রেকর্ড করা যায়নি।
এরপর বাদশাহপুর থানায় ২৩ বছরের অভিযুক্ত কাকা ও তুতো ভাইয়ের নামে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। যৌন নিগ্রহের অভিযোগে বুধবার দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের সামনে পেশ করা হলে বিচারক অভিযুক্ত যুবককে ফরিদাবাদ জেলে ঢোকানোর নির্দেশ দেন। নাবালক তুতো ভাইকে পাঠানো হয়েছে ফরিদাবাদেরই একটি কারেকশনাল হোমে।
Be the first to comment