সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (SII) জানিয়েছে রাজ্য ভ্যাকসিন পাবে ডোজ প্রতি ৪০০ টাকায়। বেসরকারি হাসপাতালগুলি করোনা প্রতিষেধক পাবে ডোজ প্রতি ৬০০ টাকায় আর কেন্দ্র ভ্যাকসিন পাবে ডোজ প্রতি ৬০০ টাকায়। ভ্যাকসিনের এই ৩ ধরনের দাম নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। এ বার সেই বিষয় খোলসা করল মোদী সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক টুইট করে জানিয়েছে, রাজ্য সরকারকে আগের মতোই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র। তারপরও নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি টিকা কিনতে পারবে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি হাসপাতাল।
টুইট করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, “আমরা এই বিষয়ে পরিষ্কার করে জানাচ্ছি কেন্দ্র ১৫০ টাকাতেই ভ্যাকসিন কিনবে এবং কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যেই ভ্যাকসিন দেবে।” তবে কেন্দ্র সেরাম ও ভারত বায়োটেকের কাছ থেকেই ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে দেবে। স্পুটনিকের দাম এখনও ঠিক হয়নি। আর রাজ্যের জন্য কেন বেশি দাম নির্ধারণ করেছে সেরাম! সে বিষয়েও আপাতত কেন্দ্র কিছু জানায়নি।
দেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি ভয়ানক। বুলেট গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় করোনা রুখতে দ্রুত টিকাকরণের পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। তাই তড়িঘড়ি পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাগুলিকে উৎপাদনের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রকে দিয়ে বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মোদী সরকার।
তবে ভ্যাকসিনের পৃথক দাম নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, “এখন মানুষকে সাহায্য করার সময়, ব্যবসা করার নয়।” ‘স্ট্রং লেটার’ দেওয়ারও কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেরামের কোভিশিল্ড যে দামে রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ভ্যাকসিন বেচার কথা জানিয়েছে, তা বিদেশের তুলনায়ও বেশি। সেখানেই বিশ্লেষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, দেশে তৈরি হওয়া ভ্যাকসিনের জন্য কেন এত বেশি টাকা দিতে হবে?
Be the first to comment