অটলজি আমার বাবার কবিতার ভক্ত ছিলেন। বাবাও অটলজির কবিতা ভালোবাসতেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। অভিনেতা শাহরুখ খান লিখেছেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, দিল্লিতে অটলজি ভাষণ দেবেন শুনলে বাবা আমাকে শুনতে নিয়ে যেতেন।
বাজপেয়ীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন সিনেমা জগতের আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে আছেন রজনীকান্ত, ধনুষ ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
শাহরুখ লিখেছেন, বড় হওয়ার পরে অটলজির একটি কবিতা সিনেমায় আবৃত্তি করেছিলাম। তাঁর সঙ্গে অনেকবার কবিতা, ফিল্ম, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তাঁর মতো আমার হাঁটুতে যন্ত্রণা আছে। সেই নিয়েও আলোচনা হত। বাড়িতে তাঁকে সবাই বাপজি বলে ডাকত। দেশ আজ পিতৃপ্রতিম এক নেতাকে হারাল। ব্যক্তিগতভাবে আমি শৈশবের স্মৃতির একটা টুকরো হারিয়ে ফেললাম। আমাদের কবি প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন। বাপজি, আপনার প্রতি ভালোবাসা রইল।
অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত লিখেছেন, তিনি নিঃস্বার্থভাবে দেশকে সেবা করে গিয়েছেন। আমাদের পরিবারের বিশেষ শুভাকাঙ্খী ছিলেন। ধনুষ লিখেছেন, অটলজির মৃত্যুতে গভীর দুঃখ পেয়েছি। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।
অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া লিখেছেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন উনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলতে তাঁর চেহারাটাই মনে আঁকা হয়ে আছে। যখন অপর কোনও প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনি, তাঁর সঙ্গে তুলনা করে ফেলি নিজের অজান্তেই ।
তিনি একসময় প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কবিতায় সুর বসিয়ে গান গেয়েছেন। তাঁর নামে তৈরি করা এক হাসপাতাল উদ্বোধনেও এসেছিলেন বাজপেয়ী। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর বললেন, আমি আর একবার বাবাকে হারালাম।বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর পুরানো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে লতা বলেছেন, একবার উনি পুনেতে আমার নামে তৈরি হাসপাতাল উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। ভাষণ দিতে গিয়ে বললেন, হাসপাতালের নাম কি আমার বেটির নামে হওয়া উচিত? লতার নামে কোনও মিউজিক অ্যাকাডেমি হতে পারত। অটলজি আমাকে বেটি বলে ডাকতেন। তাঁর সংবেদনশীলতা ও শিল্পী স্বভাব আমাকে বাবার কথা মনে পরিয়ে দিত। তাঁর হৃদয় ছিল কবির। স্বভাব ছিল সাধুসন্তের মতো।
২০১৪ সালে লতা অটলজির কয়েকটি কবিতায় সুর দিয়ে গান করেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, আমি আর আমার পছন্দের সুরকার ময়ূরেশ পাই মিলে তাঁর কয়েকটি কবিতা বেছে নিয়ে দিল্লিতে গেলাম। তাঁর অনুমোদন চাইলাম। কোন কবিতাগুলি বেছেছি দেখে তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। বিশেষ করে গীত নয়া গাতা হুঁ কবিতাটি তো তাঁর নিজেরই খুব পছন্দের ছিল। পরে অটলজির বাড়িতেই সেই অ্যালবাম উদ্বোধন করা হল। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন।
Be the first to comment